‘শিশুদের দিয়েই আশ্রমে দিনের পর দিন চালানো হচ্ছিল যৌন ব্যবসা’
দেখলে সবাই বলবে নিছকই এটি একটি আশ্রম। দুঃস্থ শিশুদের সহায়তা করাই নাকি সেই আশ্রমের মূল লক্ষ্য। সমাজ সেবার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছে ছত্তিশগড়ের রায়গড় জেলার চক্রধর বাল সদন।
তাই যখন ওই আশ্রম থেকে একের পর শিশুকে উদ্ধার করা হচ্ছে, সরল ভয়ার্ত মুখগুলি বাঁচার আশায় পুলিশের দিকে চেয়ে রয়েছে, অনেকে বিশ্বাসও করতে পারছিলেন না, এই শিশুদের দিয়েই আশ্রমে দিনের পর দিন চালানো হচ্ছিল যৌন ব্যবসা।
রায়গড়ের বিখ্যাত (বর্তমানে কুখ্যাত) চক্রধর আশ্রমে দুঃস্থ শিশুদের কাজে লাগিয়েই বছরের পর চলছিল যৌন ব্যবসা। গত ফেব্রুয়ারিতেই এই আশ্রমের বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসার অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তার করা হয় আশ্রমের সুপারিন্ডেন্ট প্রিয়া গুপ্তাকে। আশ্রমের কয়েকজন শিশুরও বয়ান নেওয়া হয়। যাবতীয় জেরার পর আশ্রমের কার্যকলাপে রীতিমতো স্তম্ভিত প্রশাসন।
প্রিয়া গুপ্তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, নাবালিকাদের দিয়ে ফোন সেক্স করানো হত। তার বদলে কাস্টমারদের কাছ থেকে নেওয়া হত মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি জোর করে বাইরের লোক ঢুকিয়ে নাবালিকাদের দিনের পর দিন যৌন অত্যাচার করা হত। রাজ্য ও বিদেশের নানা জায়গায় বিক্রি করা হত শিশুদের। চরম অত্যাচারের শিকার হয়ে ৯টি শিশু পালিয়েও গিয়েছে আশ্রম থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই আশ্রমে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে কয়েকশো স্মার্টফোন। ওই স্মার্টফোনের সাহায্যেই নাবালিকাদের দিয়ে ফোন সেক্স করানো হত জোর করে। কোনও শিশু প্রতিবাদ করলে, তাকে চরম মারধর করা হত। নয়তো শাস্তি হিসেবে বাইরের কাউকে ডেকে ধর্ষণ করানো হত।
ইতোমধ্যেই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রায়গড় পুলিশ। তদন্ত চলছে। পুলিশের অনুমাণ, এই আশ্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সেক্স র্যাকেটের সন্ধান পাওয়া যাবে।
সুত্র : এই সময়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন