শিশুর খতনা করান ডাক্তার দিয়ে
ছেলেশিশু একটু বড় হলেই মা-বাবার দুচিন্তা থাকে শিশুকে খতনা করানো নিয়ে। খতনা নিয়ে দেশে বেশি প্রচার না হওয়ায় এখনো দেশের অনেক শিশুর খতনা হাজামের মাধ্যমেই করানো হয়। অনেকে জানেনই না যে হাসপাতালে শিশুর খতনা করানোর ব্যবস্থা আছে। হাজামের মাধ্যমে খতনা করানো কতটা বিপজ্জনক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পুরুষাঙ্গের সামনে বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত চামড়া পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, অপারেশনের মাধ্যমে এ অতিরিক্ত চামড়া ফেলে দেওয়াই খতনা বা মুসলমানি। ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিস্টানরা খতনা করিয়ে থাকে। এ ছাড়া কিছু কিছু রোগে, যেমন—ফাইমোসিস, প্যারাফাইমোসিসে এটি করাতে হয়।
ফাইমোসিসের সমস্যাটি এ রকম যে, পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া এমনভাবে মূত্রনালিকে ঢেকে রাখে যে শিশু প্রস্রাব ঠিকমতো বের করতে পারে না। প্রস্রাবের সময় শিশু ব্যথায় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাব বের হতে না পেরে পুরুষাঙ্গের মাথা ফুলে ওঠে। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন, এমনকি কিডনি ফেইলিওর পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে চামড়াটাকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নড়াচড়া করা যায় না। এ ক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। উভয় ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করানো প্রয়োজন। পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেইনের সঙ্গে আটকে গেলেও খতনা করাতে হতে পারে।
খতনার বহুবিধ উপকারিতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খতনা করে পুরুষাঙ্গের ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে এক ধরনের সাদা পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এ স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যানসারের জন্য দায়ী। আবার হাইপোস্পেডিয়াসিস রোগে খতনা করানো যায় না। এটি পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এতে প্রস্রাবের নালি পুরুষাঙ্গের মাথায় না থেকে নিচের দিকে থাকে। এ ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এ জন্মগত ত্রুটি মেরামতের সময় প্রয়োজন হয়।
খতনা করানোর আগে রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শুধু খতনা করানোর কারণেই অনেক রোগী রক্তপাতের ফলে মারা গেছে। অনেক শিশুর জন্মগত রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা থাকতে পারে। রক্ত পরীক্ষা না করে এ শিশুদের খতনা করালে একবার রক্তপাত শুরু হলে আর থামতেই চায় না। তাই খতনার আগে বাচ্চার অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা (জন্মগত) আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে খতনা করালে তেমন অসুবিধা হয় না বললেই চলে। তবে হাজামদের দ্বারা খতনা করালে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া, অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা, পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ সমস্যাগুলো শুধু অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে খতনা করিয়ে দূর করা যায়।
দেশের সব হাসপাতালেই শিশুর খতনা করানো হয়। সাধারণত ছয় থেকে নয় বছরের শিশুদের খতনা করানো হয়। চিকিৎসক মনে করলে এর আগেও খতনা করাতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন