শিশুর প্রোটিন চাহিদা পূরণে কী খাওয়াবেন?
শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য প্রোটিন তথা মাছ ও মাংসের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই শিশুকে কোন ধরনের মাংস খাওয়াবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন। অনেকেই মাছ, মুরগি কিংবা গরু-খাসির মাংস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। কোনটি শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো? আসুন জেনে নিই এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কী বলেন? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
১. মাছ
বাড়ন্ত শিশুদের জন্য সবচেয়ে উপকারি খাবার হলো মাছ। এতে রয়েছে প্রোটিন, যা উচ্চমাত্রায় পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং বহু ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলে বোঝাই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ডিকোসেহেক্সাইনিক অ্যাসিড (ডিএইচএ)। শুধু স্বাদু পানির বা পুকুরে চাষ করা মাছ নয়, শিশুকে খেতে দিন নদী ও সাগরের মাছও।
শিশুর একাগ্রতা, মনোযোগ, ভালো ব্যবহার প্রভৃতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মাছ। মাছ খেলে অ্যাটেনশন হাইপেরাকভিটি ডিসঅর্ডার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত বা সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাছ খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে যায়। এমনকি প্রস্টেট এবং ওভারিয়ান ক্যানসারও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় মাছ খেলে। তাই শিশুর নিয়মিত মাছ খাওয়া উচিত।
২. মুরগি
মাছের মতো না হলেও, শিশুদের বৃদ্ধির জন্য তা খুবই উপকারী। তবে মাছের মতো এত গুণাগুণ নেই চিকেনে। চিকিৎসকরা বলেন, মাংসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেলস থাকে। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য এই সমস্ত উপকরণ খুবই প্রয়োজনীয়। এই সমস্ত উপাদানের ফলে শিশুদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে তাদের শরীরে স্ট্যামিনাও বাড়ে। মুরগির মাংসে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শিশুকে লম্বা ও শক্তিশালী হতে সহায়তা করে।
৩. গরু কিংবা খাসির মাংস
শিশুদের কম পরিমাণে খাওয়ানো উচিৎ গরু কিংবা খাসির মাংস। এগুলো রেড মিট হিসেবে পরিচিত। এর মূল কারণ এসব মাংসে রয়েছে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট। দীর্ঘমেয়াদে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন