শিশু জিহাদের মৃত্যু : এক বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত
রাজধানীর শাহজাহানপুরের শিশু জিহাদের (৩) মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তবে এখনো শেষ হয়নি মামলার তদন্তকাজ।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিশু জিহাদ শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পানির পাম্পের পরিত্যক্ত পাইপে পড়ে। খবরটি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস রাতভর অভিযান চালালেও উদ্ধারকাজে ব্যর্থ হয়। পরের দিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। এরপর একটি ক্যাচার দিয়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবক যুবকরা। মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামের যুবকরা ওই ক্যাচার তৈরির দাবি করেন।
এ ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবেহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগে শাহজাহানপুর থানার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও আবদুস সালামকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা নাসির ফকির।
ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ৭ এপ্রিল এ মামলায় রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও ঠিকাদার প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামির প্রতিষ্ঠান এসআর হাউস শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে একটি পানির পাম্পের ঠিকাদারি নিয়ে আনুমানিক ৬০০ ফুট লোহার পানির পাইপ স্থাপন করে। কিন্তু পাইপের মুখ খোলা রেখে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা না করে অবহেলা ও তাচ্ছিল্যে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। এতে ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় মামলার বাদী নাসির উদ্দিনের ছেলে শিশু জিহাদ ওই স্থানে খেলা করতে গিয়ে পাইপের ভেতরে পড়ে মারা যায়।
কিন্তু ওই অভিযোগপত্রের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি মামলার বাদী শিশু জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন। সে জন্য তিনি আদালতে নারাজি আবেদন করেন।
বাদী নারাজি আবেদনে তাঁর অসন্তুষ্টির কারণগুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে বলেন, অভিযোগপত্রে ঘটনার জন্য দায়ী অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সঠিকভাবে তদন্ত করলে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক বাবু, সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী আবু জাফরের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত হতো।
এ ছাড়া বাদী উল্লেখ করেছেন, অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত না হওয়াদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি দুর্ঘটনার সময়ে মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই জানতে পেরেছে।
গত ৪ জুন বাদীর দাখিলকৃত নারাজির আবেদন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মঞ্জুর করে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন ডিবি পুলিশকে। কিন্তু এর পর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেনি পুলিশ।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে গত ছয় মাসে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঁচটি ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু আদালতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কোনো প্রতিবেদন বা অগ্রগতি প্রতিবেদনও দাখিল করেনি। এমনকি বাদীর অভিযুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদও করেননি।
এদিকে, পুলিশের দেওয়া প্রথম অভিযোগপত্রে থাকা দুই আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন