শিশু মুনিবা ঘুম ভেঙে দেখে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে মা-বাবার লাশ
মাগুরার মহম্মদপুরে তিন বছরের শিশুকন্যা মুনিবা ঘুম ভেঙেই দেখতে পায় বাবা রবিউল এবং মা খাদিজার নিথর দেহ ঝুলছে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কানুটিয়া গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর এমন নির্মম ও রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রবিউল ইসলাম (৩৫) ও খাদিজা (২৬) দম্পতির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় বিনোদপুর ইউনিয়নের মেম্বার হাবিবুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে ৬ বছর আগে জেলার সদর উপজেলার ছোট জোকা গ্রামের সুরমান হোসেনের মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের পরিবারের একমাত্র মেয়ে মুর্শিদা ইসলাম মুনিবা। সংসারে তেমন কোনো অশান্তিই ছিল না। অথচ তাদের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেল সকালে। ভোরের দিকে একনাগাড়ে শিশু মুনিবার কান্নার শব্দে তার দাদি আয়েশা বেগম ছেলের ঘরের দিকে এগিয়ে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেও ছেলে রবিউল বা ছেলের বউ খাদিজার সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে ঘরের আরেক পাশের তালাবদ্ধ দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান মুনিবার বাবা-মায়ের লাশ ঝুলছে ফ্যানের সঙ্গে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় নামানো হয় লাশ দুটি।
মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে স্ত্রীর সঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা একেবারেই বেমানান এবং অবিশ্বাস্য। এটি পরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হতে পারে।
মহম্মদপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত দম্পতির শরীরের কোথাও অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন