শিশু রাজন হত্যাকান্ড, দুই এসআই বরখাস্ত
সিলেটে বর্বরোচিতভাবে সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের পর গাফিলতির অভিযোগে জালালাবাদ থানার ওসিকে (তদন্ত) প্রত্যাহার এবং দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, এসআই আমিনুল ইসলাম ও এসআই জাকির হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রহমত উল্লাহ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে রাজন হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা আজিজুর রহমানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে জালালাবাদ থানার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে রাজনের প্রকৃত খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে করেন আজিজুর রহমান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়ায় প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ আরো পাঁচ দিন বাড়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসানের কাছে জমা দেয়। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. রোকন উদ্দিন, অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা ও উপকমিশনার মুশফিকুর রহমান।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েকজন। ওই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে তারা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে সারা দেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুহিত আলম, তার স্ত্রী লিপি বেগম, দুই প্রত্যক্ষদর্শী আজমত উল্লাহ, ফিরোজ আলীসহ এ পর্যন্ত ১২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সাতজন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন