শি-খালেদা বৈঠকে পলাতক আসামি শিমুল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়!
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সফর উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল সরকার। কিন্তু সরকারের এই দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে দেখা গেছে নাশকতাসহ ২৬টি মামলার পলাতক আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে।
শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে নিয়ে যান খালেদা। বৈঠকে ২৬ মামলার এই আসামি শিমুল বিশ্বাসের উপস্থিতি নিয়ে দলের হাইকমান্ডও বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। একইসঙ্গে এ পলাতক আসামিকে সামনে পেয়েও পুলিশ কেন গ্রেফতার করলো না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অথচ ওই বৈঠক নির্ধারণে দলের কূটনৈতিক কোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ড. মঈন খান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তাকে নিয়ে যাননি খালেদা জিয়া। এ নিয়ে বিএনপির খোদ স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিএনপিতে শিমুল বিশ্বাসের প্রভাব ও দলের হাইকমান্ডের অদূরদর্শিতা নিয়ে কথা হচ্ছে। অন্যদিকে শিমুলকে সরকারের গুপ্তচর বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। এছাড়া বিএনপির কূটনৈতিক শাখায় দায়িত্বশীল নেতা ড. মঈন খানকে বৈঠকে না নেওয়ায় খোদ চেয়ারপারসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিএনপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে চলছে বিভিন্ন রকমের আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়।
আসলে দলের মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত থাকা যায়, তা নিয়ে কথা উঠেছে। শিমুল বিশ্বাস বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি অরেক ফেরারি আসামি খালেদা জিয়া’র প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলকে।
বিএনপির এক নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এতদিন জানতাম শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী। মানে স্টাফ। ভুল জানতাম। আজকে চায়না প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ছবি দেখে সেই ভুল ভাঙল। দলটির চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব, ৩ জন স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১ জনকে বুঝতে পারছি না আর আরেক জন শিমুল বিশ্বাস। তার মানে উনিও স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্যই হবেন। না হলে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, মঈন খান নিদেন পক্ষে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খানও বৈঠকে থাকতে পারতেন। ওনাদের চেয়ে হয়তো যোগ্য বলেই মি. বিশ্বাস দলটির জন্য এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। নয়কি?”
গতকাল (১৫ অক্টোবর) শুক্রবার ২২ ঘণ্টার সফরে ঢাকা আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওইদিন বিকেলে হোটেল লা-মেরিডিয়ানে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ছিল ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আর ওই দলেই শিমুল বিশ্বাসকে দেখা গেছে। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একই টেবিলে বসে বৈঠকও করেছেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন