শীতের আগমনী বার্তায় গাইবান্ধায় এ কোন প্রস্তুতির মহড়া চলছে !!
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা: হেমন্তের শীতের আগমনী বার্তায় গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে শীতের আবাস শুরু হয়েছে। শীতের আগমনের সাথে সাথে উপজেলা শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকার কারিগররা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও দোকানে কারিগররা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক মজুদ করে রেখেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ঘনকুয়াশার আচ্ছন্নে দিনের সুর্যোর আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যাচ্ছে। বিত্তবান লোকজন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করছেন। অপরদিকে ছিন্নমুল পরিবারের মহিলারা পুরান শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন। তাদেরও লেপ-তোষকের সাধ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় তারা রং-বেরঙের সুতা দিয়ে কাঁথা বুনে চলেছেন। গরম কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ধুনকর কারিগররা। লেপ-তোষক তৈরির অগ্রিম বায়না নিচ্ছে তারা।
শীত নিবারণের জন্য দর্জির দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছে শীতার্থ মানুষ। বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরির পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির গ্রাহকসেবা চলছে পুরোদমে। স্বল্প আয়ের লোকেরা অবশ্য ফুটপাতে গড়ে ওঠা পুরান কাপড়ের দোকানে ধরণা দিচ্ছে। কিন্তু আমদানির পরিমাণ কম থাকায় ও মূল্য বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বিমুখ হয়ে ফেরত যাচ্ছে।
এদিকে খোলা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির তুলার দামও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। উপজেলার কামারপাড়া, নলডাঙ্গা, ঢোলভাংগা, মীরপুর ও ধাপেরহাট বাজারসহ অধিকাংশ কারিগররা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। পেশাদার কারিগর মোজ্জামেল, সিরাজল, নুরুজ্জামান আকন্দ জানায়, তাদের তৈরি লেপ-তোষক নিজ জেলা গাইবান্ধা ছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করত কিন্তু এবারে তাদের নিজস্ব কোন পুঁজি না থাকায় স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে কোনমতে পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে।
তাদের মতে সরকারি বেসরকারি সংস্থা থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে দেশের বিভিন্ন জেলায় তৈরিকৃত মালামাল সরবরাহ করা যেত। লেপ-তোষক তৈরির কারিগর আঃ মজিদ মিয়া জানায়, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্ট তুলা ২৫ থেকে ৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং কার্পাস ও শিশু তুলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে বধূরা শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পুরান কাঁথা-কম্বলগুলো জোড়া-তালি ও মেরামত করছে। এভাবেই চলছে সাদুল্যাপুর উপজেলায় শীত নিবারণের প্রস্তুতি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শয়নকক্ষ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পান্নাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধায় সাড়ে তিন বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
এল. এন. শাহী, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যৌতুকের দাবীতেবিস্তারিত পড়ুন