শীতে মুলা খাইলে ১০ উপকার, থাকবে না শরীরের যে রোগগুলো
মুলা! নাম শুনেই অনেকে চোখ কুঁচকান। অনেকেই মুলা খেতে চান না। কিন্তু মুলায় মেলে নানা উপকার। তরকারি হিসেবে বা সালাদে নানাভাবে মুলা খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মুলার মেলা পুষ্টিগুণ। যকৃৎ ও পাকস্থলী পরিষ্কারে মুলার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত তাই খাবার টেবিলে মুলা রাখতেই পারেন।
মুলার নানা উপকারের কথা জেনে নিন
যকৃৎ ও পাকস্থলী বিষমুক্ত করতে পারে মুলা। মুলা সাদা, লাল বা কালো রঙের হতে পারে। শীতকালে সাদা মুলা সহজে চোখে পড়ে। এ মুলায় প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। কালো রঙের মুলা ও এর পাতা অনেক দিন ধরে জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মুলায় যে উপাদান আছে, তা রক্ত শোধনে সহায়তা করে। মুলায় আছে প্রচুর সালফার।
১. রক্তে অক্সিজেন বাড়ায়: রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে মুলা। মুলা খেলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে।
২. যকৃৎ সুরক্ষা করে: মুলায় প্রচুর ফাইবার আছে। প্রতিদিন যদি সালাদের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মুলা খাওয়া যায়, তবে শরীরে ফাইবার আসায় হজম ভালো হয়। এটি পিত্ত উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যকৃৎ ও গল ব্লাডারকে রক্ষা করে। শরীরে পানি ধারণক্ষমতার বাড়াতে মুলা খাওয়া যেতে পারে।
৩. হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায়: হৃদ্যন্ত্র সুরক্ষা করতে পারে মুলা। এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিনস, যা হৃদ্যন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই বেশি মুলা খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। এটি ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ফ্লাভোনয়েডসের ভালো উৎস।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: মুলায় আছে পটাশিয়াম, যা শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁরা মুলা খেতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, রক্ত শীতলকারী প্রভাব আছে মুলায়।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় সাধারণ সর্দিকাশি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত মুলা খেলে শরীরে ক্ষতিকর মুক্ত উপাদান তৈরি হয় না। এ ছাড়া প্রদাহ ও অকালবার্ধক্য দূর হয়।
৬. রক্তনালি শক্তিশালী করে: কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মুলা, যা রক্তনালিকে শক্তিশালী করে এবং অথেরোসক্লেরোসিস নামের ধমনির রোগ হতে বাধা দেয়।
৭. বিপাকের বন্ধু: শুধু পাচনতন্ত্রই নয়, এটি বিপাকেরও ভালো বন্ধু। অম্ল, স্থূলতা, গ্যাসট্রিক, মাথাব্যথা, বমিভাব দূর করে মুলা।
৮. উচ্চ পুষ্টিগুণ: লাল মুলায় ভিটামিন ই, এ, সি, বি৬ ও কে আছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর। এতে আছে ফাইবার, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাংগানিজ। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে কর্মঠ রাখতে সাহায্য করে।
৯. ত্বকের জন্য ভালো: প্রতিদিন মুলার জুস খেলে ত্বক সতেজ থাকে। মুলায় থাকা ভিটামিন সি, জিংক ও ফসফরাস এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ত্বকের শুষ্কতা, ব্রণ বা দাগ দূর করতে পারে। মুলার পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখলে ত্বক সজীব থাকে। এ ছাড়া চুলের খুশকি দূর করতে, চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলের গোড়া শক্ত করতে পারে মুলা।
১০. শরীর আর্দ্র রাখে: মুলায় জলীয় পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরকে আর্দ্র রাখে। তথ্যসূত্র:এনডিটিভি, প্রথম আলো
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন