শুধু জামায়াত-জামায়াত করলেই তো হবে না : লিটনের বোন
গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রীসহ দলের নেতারা হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে সন্দেহ করলেও এই সংসদ সদস্যের বোনেরা তদন্তে সব বিষয়কেই মাথায় রাখতে বলছেন।
এর আগে গত রবিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক অভিযোগ করে বলেন এমপি লিটন হত্যায় জামায়াত-শিবির জড়িত।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির অনেক দিন থেকেই লিটনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল। অবশেষে তার শেষ রক্ষা হলো না।
এরপর মঙ্গলবার নিহত এমপি লিটনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপির নিরাপত্তাকর্মীদের ছুটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ এবং প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন কে ওই নিরাপত্তাকর্মীদের ছুটি দিয়েছিল। কেনইবা এই ছুটি দেওয়া হলো।
শহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘তার (লিটন) শত্রুদের বিষয়ে আমার ধারণা নেই। তবে এলাকার লোক তাকে হত্যা করতে পারে না। আমার ভাইকে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহত এমপি লিটনের বড় ভাই শহিদুল ইসলামের এমন বক্তব্যে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, লিটনের বড় ভাইয়ের এমন বক্তব্যে লিটন হত্যাকাণ্ডের মোটিভ নতুন মোড় নিতে পারে।
এদিকে এতো আলোচনা সমালোচনার পর মুখ খুলেছেন এমপি লিটনের বোন তৌহিদা বুলবুল ও ফাহমিদা বুলবুল কাকলী। তারা বলেন, শুধু জামায়াতকে ঘিরে যেন হত্যা মামলার তদন্ত আটকে না থাকে।
মঙ্গলবার লিটনের বাড়িতে দোয়া মাহফিল হয়। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের সামনে আসেন লিটনের দুই বোন ও স্ত্রী। তাদের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ, আতঙ্কিত যে তা লুকানোর চেষ্টাও তারা করেননি।
তৌহিদা বুলবুল বলেন, শুধু জামায়াত-জামায়াত করলেই তো হবে না। যদি জামায়াত হয়, জামায়াত। যদি আওয়ামী লীগ হয়, আওয়ামী লীগ। যদি আমি হই, আমি। এনি বডি। আমরা তার পানিশমেন্ট চাই। আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই।
এমপি লিটনের বন্ধু ও তার পরিবারের নিকটজন হিসাবে পরিচিত মুকুট বলেন, জামায়াত হতে পারে। কিন্তু ডাইরেক্ট জায়ামাত করছে-এ কথাটা কখনো বলা হয়নি।
মামলার বাদী ফাহমিদা কাকলী বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকারী কে, কারা করল- সেটা আমি জানতে চাই এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তবে জামায়াতে ইসলামী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতে তাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন লিটনের বোন ফাহমিদা। বেশ কয়েকজনকে আটক করলেও তবে তিন দিনেও খুনিদের শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে। ঘরের ভেতর ঢুকে খুব কাছ থেকে এমপিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রসীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর পরদিন রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। সোমবার ঢাকায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে গাইবান্ধায় নেয়া হয় লিটনের লাশ। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন