শুধু মুখ দেখেই মানুষ চিনবেন কীভাবে? জেনে নিন
প্রেমিকা হোক বা সহকর্মী, মুখের গড়নেই লেখা থাকে তিনি কেমন মানুষ। শুধু প্রয়োজন একটু পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার। প্রেমদিবসে যদি কাউকে প্রোপোজ করার কথা ভেবে থাকেন, তবে তার আগে জেনে নিন শুধু মুখ দেখে কী করে বুঝবেন তিনি কেমন মানুষ।
অনেকেই বলেন, মানুষ চিনতে গোটা জীবন পার হয়ে যায়। অনেক দিন ধরে মেলামেশা করলে, বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললে তবেই বোঝা যায় মানুষটি কেমন। জানেন কি, মুখের আদল দেখে বলে দেওয়া যায় মানুষটির চরিত্র। জেনে নিন কীভাবে—
গোলাকৃতি: এমন মুখের মানুষ সাধারণত অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকেন। ক্ষমতা এবং অর্থের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকে আবার এঁরা খুব সহানুভূতিশীলও হন। যৌনকল্পনা খুব তীব্র হয়। দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাল।
ত্রিকোণাকৃতি: সচরাচর বুদ্ধিদীপ্ত এবং সৃজনশীল কিন্তু সাঙ্ঘাতিক মেজাজি হন এঁরা। শক্ত মনের মানুষ এবং বেশ অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়। কিন্তু নেতিবাচক মনোভাব বেশ প্রবল থাকে।
চৌকো: বুদ্ধিদীপ্ত এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা বেশ ভাল। দৃঢ়, কর্তৃত্বপরায়ণ ও প্রতিযোগিতাপরায়ণ হয়ে থাকেন এঁরা। পাশাপাশি একটা আগ্রাসক ভাবও থাকে। নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ভাল হলেও এঁরা খুব হিংসুটে এবং পজেসিভ হন।
আয়তাকার: পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান এবং সক্রিয়। সংযম খুব প্রবল এবং খানিকটা দার্শনিক। কেউ কেউ খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী হন, আবার কেউ কেউ বিমর্ষতায় ভোগেন।
ডিম্বাকৃতি: সবচেয়ে বেশি এই আদলই চোখে পড়ে। কপাল চওড়া কিন্তু খুব উঁচু নয়। শান্ত, মিষ্টি স্বভাবের হন এঁরা। নিজের দুঃখ-কষ্ট, আবেগ-অনুভূতি লুকিয়ে রাখেন। শারীরিক কষ্ট খুব একটা সহ্য করতে পারেন না। কখনও কখনও বেশ নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির হয়ে থাকেন। অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেন এঁরা আর ডিপ্লোম্যাটিক হন।
লম্বাটে: পাতলা গড়নের মুখ এবং উঁচু কপাল। কাজের দিক থেকে খুব মেথডিক্যাল, বাস্তববাদী এবং পরিশ্রমীও বটে। তবে এঁরা খুব আত্মকেন্দ্রিক এবং নার্সিসিজমে ভোগেন অর্থাৎ নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন। আত্মপ্রেমে মগ্ন হয়ে থাকেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ জটিলমনস্ক।
হার্ট শেপ: চওড়া কপাল এবং অল্প উঁচু হনু হয় এঁদের। খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিন্ত বাস্তববাদী। একটু লাজুক প্রকৃতির হলেও ভিতরে ভিতরে বেশ দুষ্টুমি খেলা করে। সহজে ভেঙে পড়েন না এঁরা।
ডায়মন্ড শেপ: এঁদেরও হনু অল্প উঁচু হয় আর বেশ ধারালো চিবুক থাকে। এঁরা আত্মবিশ্বাসী এবং কর্তৃত্বপরায়ণ। পাশাপাশি খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের হন এঁরা। উচ্চকিত মেজাজ থাকে এবং ট্যানট্রাম প্রবল।
কোণাকৃতি: উঁচু হনু এবং মুখের আদলটি চার-পাঁচটি কোণে ভাঙা থাকলে বুঝবেন তিনি খুব স্বাধীনচেতা, অতিরিক্ত স্পর্শকাতর। গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে বিশ্বাসী এঁরা। খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন এবং অনেক সময়ে নেতিবাচক মনোভাবাপন্নও হয়ে থাকেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন