শুধু মেয়র প্রার্থীর জন্য দলীয় প্রতীক
পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পাবেন শুধু মেয়র পদের প্রার্থীরা। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা কোনো দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক পাবেন না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক দেয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আইনি মতামত পাঠাচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শনিবার মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সামনে পৌর নির্বাচন বলে প্রথমে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৫-এর ওপর মতামত পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। তাতে পৌর কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দলীয় প্রতীক না দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি উত্থাপন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যদের দলীয় প্রতীক না দেয়া ভালো। শুধু দলীয় প্রার্থী হবেন সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা।”
ওই কর্মকর্তা জানান, আগে পৌরসভার নির্বাচন, তাই এ-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ বিষয়ে বলেন, “পৌরসভার নির্বাচন সামনের মাসে, তাই ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৫’-এর মতামতের জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা পৌরসভার মেয়র প্রার্থীদের দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার সুপারিশ করে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাচ্ছি। তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠঅবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে সিটি মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক দেয়ার চিন্তভাবনা রয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যদের দলীয় প্রতীক দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
গত রবিবার দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৫’উত্থাপন করেন। গত ২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করেন।
এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সংশোধন আইন একযোগে অনুমোদন করা হয়। আইনগুলো হলো: স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধন আইন, ২০১৫; উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৫; জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৫; স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধন আইন, ২০১৫ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) সংশোধন আইন, ২০১৫।
এসব আইনের আওতায় পর্যায়ক্রমে ৩২৩টি পৌরসভা, ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৪৮৮টি উপজেলা, ১১টি সিটি করপোরেশন এবং ৬৪টি জেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সরকারের এই পাঁচটি স্তরেই দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন করতে আইনের সংশোধন অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সংশোধনী অনুযায়ী, পাঁচ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণের পর কোনো কারণে নির্বাচন না হলে প্রশাসকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে। স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ রাখা হলেও তাদের জন্য বিধি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।
তবে চূড়ান্ত সংশোধনীতে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের জন্য দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক দেয়ার বিধান রাখা হচ্ছে। এটি মন্ত্রিসভায় পাস হলে কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যপদের প্রার্থীরা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পাবেন না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন