শুনানির অপেক্ষায় ঐশীর ডেথ রেফারেন্স : ঝুলে আছে সুমির মামলা
পুলিশ দম্পতি বাবা-মাকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু একই ঘটনায় কিশোর আইনে দায়ের করা মামলায় তিন বছরেও শেষ হয়নি সেই বাসার গৃহকর্মী সুমি আক্তারের বিচার। তার মামলার সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। এমনকি সাক্ষীদের প্রতি জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও তারা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না।
সুমির আইনজীবীর অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষের গরিমসির কারণে ঝুঁলে আছে সুমির মামলার বিচার প্রক্রিয়া। সুমির আইনজীবী রাজধানী মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব সৈয়দ নাজমুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, সুমি গরিব হওয়ায় তার মামলাটি দ্রুত শেষ করার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ।
তিনি বলেন, দুই মামলার সাক্ষী একই। রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে দুই মামলার সাক্ষী একইসঙ্গে নিতে পারতেন। রাষ্ট্রপক্ষের গরিমসির কারণে ঝুলে রয়েছে মামলাটির বিচার।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, সাক্ষীদের প্রতি জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও আদালতে হাজির হচ্ছেন না।
তবে রাষ্টপক্ষের আইনজীবী শাহাবউদ্দিন মিয়া বলেন, সুমির মামলায় আদালতে সাক্ষীদের সমন দেয়া হয়েছে। মামলায় ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। অপর সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আশা করছি মামলাটির কার্যক্রম দ্রুত শেষ হবে।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যান ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুইটি পৃর্থক চার্জশিট দাখিল করেন। সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হচ্ছে।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেয়া হয়।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেয়া (বিচারিক) নিম্ন আদালতের রায়ের নথি ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। ৬ ডিসেম্বর ঐশীর আইনজীবী খালাস চেয়ে হাইকোর্ট আপিল করেন। বর্তমানে মামলাটির ডেথ রেফারেন্স শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন