শৃঙ্খলে রাখতে ‘কঠোর’ কোচের সন্ধানে বিসিবি
বিসিবি এখনও তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলেও হাথুরু যুগ যে শেষ হয়ে গেছে সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই। হাথুরুর এক সময়ের ঘনিষ্ঠজন সাবেক অধিনায়ক, বোর্ড পরিচালক ও জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন তো বলেই দিয়েছেন, হাথুরু অধ্যায় শেষ। নিজের টুইটার প্রোফাইল থেকে বাংলাদেশ অধ্যায় মুছে ফেলার পর বিসিবিও হাথুরুর আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছে। দুই-চার দিনের মধ্যে তাঁর ঢাকায় আসার সম্ভাবনা থাকলেও দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাস্তবতা এখন এটাই।
নতুন বিদেশি কোচের সন্ধান তাই শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ড,কোচিং ক্যারিয়ার কতটা সমৃদ্ধ তার চেয়ে তিনি প্রশাসক হিসেবে কতটা ভালো, ব্যক্তিত্ব কতখানি, সিনিয়র খেলোয়াড়রা তাকে কতটা মানবে-এই বিষয়গুলো সামনে রেখে কোচ বেছে নিতে চায় বিসিবি। ইতোমধ্যে দুই একজনের সঙ্গে যোগাযোগও নাকি করা হয়েছে। তবে, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে সেটা স্পষ্ট জানা যায়নি।
মনে করা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে ঝামেলাই হাথুরুসিংহের পদত্যাগের মূল কারণ। মাশরাফি, তামিম, সাকিব, রিয়াদ, মুমিনুল, মুশফিকের সঙ্গে শুধু নয়, সৌম্য ও মোস্তাফিজের মতো জুনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় হাথুরুর। দলে অনেকটা একঘরে হয়ে যান তিনি। ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে বিসিবি। কোচ নির্বাচন যাতে সঠিক হয় তার জন্য ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
দুইদিন আগে বিসিবির অন্যতম পরিচালক জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য উপমহাদেশের কোচকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা। শোনা গিয়েছিল ভারতের সাবেক টেস্ট খেলোয়াড় মদন লালের কথা। কিন্তু তার বয়স খুব একটা অনুকূলে নয়। ৬৬ বছর বয়সে এই কঠিন দায়িত্ব নেওয়া মোটেও সহজ নয়। উপমহাদেশে পেশাদার কোচ তেমন না থাকায় শেষমেশ বাইরে থেকেই কোচ আনতে হতে পারে এবং এই সম্ভাবনাই বেশি।
জানা গেছে, ইংলিশ কোচ রিচার্ড পাইবাসের দিকেও আবার হাত বাড়াতে পারে বিসিবি। ২০১২ সালের জুনে টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়ার পর চুক্তিতে সই না করেই চার মাস বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন পাইবাস। বিসিবির বার্ষিক ৪৫ দিনের ছুটির শর্তে আপত্তি ছিল তার। শেষমেশ বাংলাদেশ ছেড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দায়িত্ব নেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের সঙ্গেও ছিলেন তিনি। ক্রিকেটার হিসেবে দুই ফরম্যাটে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হলেও কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে বিরাট সাফল্য আছে তার। তবে অদ্ভূত চরিত্রের জন্যও তার পরিচিতি রয়েছে। কখন যে কোন সিদ্ধান্ত নেন তার ঠিক ঠিকানা নেই। মানুষ হিসাবে অনেক শক্ত হলেও তাকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে সেটাও ভেবে দেখছে বিসিবি।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচরা আছেন। প্রধান কোচের কাজটাও তাই অনেক কম। খেলোয়াড়দের ভুল ত্রুটি শুধরানোর মূল দায়িত্ব তো স্পেশালিস্ট কোচরাই পালন করে থাকেন। হেড কোচকে সার্বিক বিষয় দেখভালের সঙ্গে দলের মধ্যে শৃঙ্খলাজনিত কোনও সমস্যা আছে কি না সেটা দেখতে হবে। দলকে গেঁথে রাখতে হবে এক সুতায়। তাকে হতে হবে দক্ষ প্রশাসকও। সিনিয়র খেলোয়াড়দের সামাল দিতে পারবেন ঠিকঠক। তেমনই এজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কোচ চায় বিসিবি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন