শেষ ইচ্ছা জানালেন না সাকা-মুজাহিদ
ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের আগে যথারীতি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় শেষ ইচ্ছার কথা। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি।
কারাসূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও কোনো শেষ ইচ্ছার কথা জানাননি বিএনপি-জামায়াতের এই দুই নেতা।
জেলগেট থেকে বের হয়ে সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, বাবা আমাদের ভাইবোনদের একসঙ্গে থাকতে বলেছেন। আর আমার মাকে দেখে রাখার কথা বলেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুজাহিদ তার পরিবারের সদস্যদের শেষ কথায় বলেছেন, আমার জন্য দোয়া করো, আর সবাইকে সালাম দিও।
শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে একসঙ্গে ফাঁসি কার্যকর করা হয় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের।
কারাসূত্র জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদকে গোসল করানো হয়। ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দেওয়া হয় রাতের খাবার। খাবারের মেন্যু ছিল মুরগি, ডাল ও সবজি। সাকা খেলেও মুজাহিদ খাননি।
পরিবারের সদস্যরা বিদায়ের পর সাড়ে ১২টার দিকে তওবা পড়ানো হয়। তওবা পড়ান কারাগার পুকুর পাড় সংলগ্ন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মনির হোসেন খান। সাকা তওবা পড়লেও মুজাহিদ বলেন, আমাকে তওবা পড়াতে হবে না। আমি নিজেই তওবা পড়েছি।
এরপর ১২টা ৩৬ মিনিটে কনডেম সেল থেকে যমটুপি পরিয়ে দু’জনকে একসঙ্গে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয়। এসময় তাদের মধ্যে কোনো রিঅ্যাকশন ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরে তাদের দাঁড় করানো হয় একই মঞ্চে পাশাপাশি। মঞ্চটি বেশ পুরনো। এ মঞ্চেই কার্যকর হয় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসি। পরে একই সময়ে একই সঙ্গে দু’জনের ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাজাহান ও রাজু।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন