শৈলকূপায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় একটি পরিবার পথে বসেছে
ঝিনাইদহপ্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার ভাটই বাজারের অশিত নামে একজন পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার
অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে ভাটই বাজারের অশিত নামে একজন পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার শিকারে
পরিণত হয়েছে আহাসান নগরের মৃত মতলেরর ছেলে সাইফুল ইসলাম। ভুক্তভুগি সাইফুল ইসলাম জানান, গত
বছর ১৪/০৩/২০১৫ তারিখে আমি ধানের বাস্তা উঠেতে গিয়ে কোমরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভাব করি। তারপর
১৭/০৩/২০১৫ তারিখে সন্ধ্যার দিকে ভাটই বাজারে অশিতের চেম্বারে যাই। আমার কথা শুনে ডাক্তার অশিত
বলেন কোন সমস্যা হবে না। মাত্র ৩ টি ইনজেকশন নিতে হবে তাই বলে সে আমাকে ২ টি ইনজেকশন দেয়। আমি
বাড়ী ফিরে আসার পর পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভাব করি। তারপর রাত ৩ টার দিকে আমার মুখ দিয়ে পায়খানা
বাহির হতে থাকে। এই আবস্থায় ১৮/০৩/২০১৫ তারিখে সকাল বেলা আমাকে ঝিনাইদহ সদর হাঁসপাতালে ভর্তি
করলে সদর হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে না দেখে বলে যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেই
অবস্থায় আমাকে বাড়ী নিয়ে এসে পুনরায় ঝিনাইদহ ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাইভেট
হাসপাতাল থেকে ওরা আমাকে ডাইরিয়ার চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।আমি
১৯/০৩/২০১৫ তারিখে ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
ডাক্তাররা আমাকে দেখে পরীক্ষা করে বলে যে ব্যাথার ভুল চিকিৎসার কারনে পেটের নাড়ি লিখ হয়ে গেছে। এক
মাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া এই রুগী বাঁচান সম্ভব না। তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেশ সুস্থ হয়ে উঠি।
ঢাকা মেডিকেল থেকে আমাকে ০৪/০৪/২০১৫ তারিখে প্রথম দফা ছাড় পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তারপর
আবার ২ দফা আবার যায় এবং ৮ দিন থাকার পর চলে আসি।এখন প্রযুন্ত আমি অসুস্থ। আমি কোন কাজ করতে
পারি না। এই ভাবেই সাইফুল তার কষ্টের কথা গুলি বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। অসিতের এই ভুল চিকিৎসার
খেসারৎ দিতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার আজ পথে বসেছি। আগে আমার একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল
তাঁহা আমি বিক্রয় করে দেই। আমার এই চিকিৎসার খরচ আমার পাড়া প্রতিবেসি ও গ্রামের লোক জন চাঁদা তুলে
বহন করেছে কিন্ত যাহার কারনে আমার এই অবস্থা সেই বাক্তি একফোঁটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেইনি। আমি
প্রায় ৭ বছর বিবাহ করেছি আমার একটি মেয়ে সন্তান আছে। আমি বর্তমানে কোন কাজ করার অযোগ্য হয়ে
পড়েছি। এই চিকিৎসা বাবদ আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বায় হয়েছে। এখন আমি চির দিনের মত অকেজ হয়ে
পড়েছি বেচে থেকে ও মৃত প্রায়।পথে পথে ঘুরছি এখন আমার ভিক্ষা বৃিত্ত করা ছাড়া উপায় নাই। চিকিৎসা করা
কালীন সময়ে অনেকে সাহায্য সহযোগিতা করত এখন তাও করে না। আমি এখন কি করব? বুঝতে পারছি না।
আমি চাই অশিতের মত ডাক্তার দের শাস্তি হোক বন্ধ হোক চিকিৎসার নামে এই প্রতারণা ।আর যেন কেউ
আমার মত এ অবস্থায় না পড়ে। চিকিৎসার নামে ডক্তারের মানুষের জীবন নিয়ে খেলা তার জন্য হয়ত কিছুই না
কিন্ত আমাদের মত মানুষের তো জীবন যাওয়ার অবস্থা। অশিতের ভুলের শিকার শুধু সাইফুল নয় আরও শিকার
হয়েছে ভাইট দক্ষিণ পাড়ার নিপেনের মেয়ে তামান্না। তাহকেও ভুল চিকিৎসা করে অনেক বিপদে ফেলেছিল এই
অশিত ।ভাইট বাজারে ব্রাদার্স ফার্মেসীর মাধ্যমে অশিত ও অশিতের বাবা অজিত এই ভাবে বছরের পর বছর
পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার সেজে দিনের পর দিন চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে চিকিৎসার নাম লক্ষ লক্ষ
টাকা। আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পল্লীর নিরিহ সাধারণ মানুষ। ধোরা ছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে এই
আজিত অশিত। খোঁজ করলে হয়ত আরও বেরিয়ে আসবে সাইফুল তামান্নার মত অনেকে। এই ব্যাপারে অশিতের
সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে আমি এই নামের কাউকে চিকিৎসা দেইনি। হয় তো কেও শত্রুতা মূলক ভাবে মিথ্যা বলেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন