শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

শ্রীপুরে ধনেপাতা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন দুই বন্ধু

টগবগে চির উদ্যোমী দুই বন্ধু মাহবুব ও মফিজুল। কিছুদিন পূর্বেও ছিলো অটোচালক। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কলুর বলদের খাটুনিতেও তাদের অভাবের সংসারে হাঁসি ফোটাতে পারছিল না।

স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি নিয়ে গ্রাম থেকে শহর-উপশহরে যেতে হতো তাদের। লাউ, কুমড়া, শসা, ধনে পাতাসহ বিভিন্ন তরি-তরকারী অটোরিকশায় বহন করতে হতো। তিন চাকার বাহনে বসে একপর্যায়ে ভিন্ন স্বপ্ন বুনেন এই দুই বন্ধু। সিদ্ধান্ত নিলেন তারাও কৃষি কাজে লেগে যাবেন। সংসারের আয়ের বাহন অটোরিকশা বিক্রি করে শুরু করলেন বিলাতি ধনেপাতার চাষ। প্রথম বছরেই বাজিমাত। পরের বছর চাষের পরিধি বাড়ল কয়েক গুণ। দুই বন্ধু বিলাতি ধনেপাতা চাষে এখন লাখপতি! সফল এই দুই বন্ধু শ্রীপুর উপজেলার বারোতোপা গ্রামের আজিজ মুন্সির ছেলে মফিজুল ও মুসেন সিকদারের ছেলে মাহবুব সিকদার।

তাদের ধনী হওয়ার গল্প এখন বেকারদের ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। মফিজুল বলেন, বিলাতি ধনেপাতা আমাদের সংসারের আলাদিনের চেরাগ। অভাব-অনটনে নিমজ্জিত আমাদের সংসারে বিত্তের আলো ফুটিয়েছে এই ধনেপাতা।

তিনি জানান, অটোরিকশা বিক্রির টাকা থেকে প্রথম বছর বিশ হাজার টাকা দিয়ে এক কেজি বীজ কেনেন। সেই টাকা দিয়ে এক বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। ওই বছরই খরচ শেষে দুই লাখ টাকার ব্যবসা হয়। পরের বছর আরও বেশি জমিতে চাষ করতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে চার লাখ টাকার বীজ কিনে সাড়ে চার বিঘা জমিতে চাষ করেন। ওই বছর প্রায় পঁচিশ লাখ টাকার ব্যবসা হয়। চলতি বছর আরও বেশি টাকার ধনেপাতা বিক্রি হবে বলে আশা করেছেন।

মাহবুব সিকদার বলেন, এখন আমরা প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে ধনেপাতা চাষ করছি। এসব জমিতে ধনেপাতার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে মাচায় চাল কুমড়া ও ঝিঙে চাষ করছি। এতে ধনেপাতার প্রয়োজনীয় ছায়ার পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে প্রায় তিন লাখ টাকার অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে। এখন নিয়মিত ৩০ জন লোক আমাদের এ চাষাবাদে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এ বছর আমাদের প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে।

মাহবুব জানান, জেলা শহরের আড়তসহ ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিক্রি হয় এসব ধনেপাতা। বর্তমানে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে পাতা বিক্রি করা হচ্ছে। এ বছর এবং আগামী বছর মিলে আমাদের টার্গেট এক কোটি টাকার বিলাতি ধনেপাতা ও বীজ বিক্রি করা।

নারী শ্রমিক সরবানু বলেন, এখানে ২৫০-৩৫০ টাকায় আমরা ৩০ জন শ্রমিক হাজিরা কাম করে খাই। হাজিরার টাকা সপ্তাহে বা মাসে নেই। ঈদেও বোনাস দেয় মালিকরা। এলাকাবাসী মনে করেন তাদের এ সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এমন কাজে আগ্রহী হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ