সংকটজনক অবস্থায় সিঙ্গাপুরে র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান
সংকটজনক অবস্থায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোববার রাত ৮টা ১০ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র্যাবের এ পরিচালককে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। তাকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
এর আগে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭টা ৫০ মিনিটে তাকে সিএমএইচ থেকে বিমানবন্দরের নিয়ে যাওয়া হয়। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শনিবার সিলেটে বোমা হামলায় আহত হওয়ার পর ওই রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারযোগে সিএমএইচে আনা হয়। একই সঙ্গে সিএমএইচে আনা হয় একই ঘটনায় আহত র্যাবের অপর কর্মকর্তা উপপরিচালক মেজর শাহীন আজাদকে। তিনি জানান, আবুল কালাম আজাদ মাথায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। শাহীন আজাদ আহত হয়েছেন হাতে। শাহীন আজাদের অবস্থা উন্নতির দিকে।
রোববার দুপুরে সিএমএইচে গিয়ে দেখা যায়, মাথা-মুখ এবং চোখে ব্যান্ডেজ মোড়ানো অচেতন হয়ে আবুল কালাম আজাদ শুয়ে ছিলেন অফিসার ব্লকের ১৫ নম্বর বেডে। কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিল না। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীরা ওয়ার্ডের নিচে অবস্থানরত মনিটরের সামনে বসে চোখের পানি মুছছিলেন।
আবুল কালাম আজাদের বন্ধু গার্মেন্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, একজন ভালো মানুুষের যত গুণ থাকে সব গুণই তার মধ্যে আছে। তার মতো এমন একজন লোককে এ অবস্থায় দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না। আবুল কালাম আজাদের বাল্যবন্ধু এমএইচ খান পাভেল জানান, বোমার একটি স্পিন্টার আজাদের চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার সামনের নার্ভ ছিঁড়ে পেছনের দিকে গিয়ে আটকে গেছে। তিনি জানান, তার অবস্থা আশংকাজনক।
সিএমএইচের লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদের চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, আবুল কালাম আজাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মাথা, চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও বোমার স্পিন্টারের আঘাত লেগেছে। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এখনও বন্ধ হয়নি।
এদিকে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খানসহ সেনাবাহিনী ও র্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শনিবার গভীর রাত থেকেই তার পাশে ছিলেন।
লে. কর্নেল আজাদ ৩৪ লং কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি একজন চৌকস সেনা কমান্ডো। গুলশানের হলি আর্টিজানে প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের ‘অপারেশন থান্ডার বোল্টে’ অংশ নেন তিনি। আবুল কালাম আজাদ ৬ বছরের বেশি সময় ধরে র্যাবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবিতে তার পোস্টিং হয়। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে লে. কর্নেল আজাদের র্যাব থেকে বিদায় নেয়ার কথা ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন