সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের খোলাখুলি আলোচনার আহ্বান ইউনূসের
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে ধর্মীয় নেতাদের খোলাখুলি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “যাতে প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পায় এবং মানুষ আনন্দিত হয় যে তাদের অভিযোগের প্রতিকার হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার সেগুনবাগিচায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের বিভিন্ন ধর্মের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপের শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
দুর্গাপূজার সময়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেন কোনো হামলা না হয়। এ বিষয়ে সবাই আন্তরিক ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে কয়েক হাজার পূজামণ্ডপে উৎসব উদযাপিত হয়েছে। তবে তাঁতীবাজারে একটি ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেটিই একমাত্র ঘটনা। এতে কিছুটা তৃপ্তি পেয়েছিলাম যে, একসঙ্গে আনন্দ সহকারে উৎসব উদযাপন করতে পেরেছি। কিন্তু এখন আবার নতুন কথা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে…। বিদেশি প্রচারমাধ্যমে এটি প্রচারিত হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কেন এমন হচ্ছে। সত্যি না-কি ভুল তথ্য প্রচারিত হচ্ছে?”
তিনি আরও বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি কেন হচ্ছে, কী হচ্ছে, হচ্ছে না-কি হচ্ছে না। না-কি তথ্য আমরা যা পাচ্ছি, তা ভুল। কাজেই সেই তথ্যের ওপর ভরসা করে বসে থাকলে, অন্ধের মত বসে থাকা। তথ্যর মধ্যে গড়মিল কেন? ওরা যা বলছে তা মিথ্যাচার, না আমরা যা বলছি তা মিথ্যাচার, সত্যটা কোথায়। প্রকৃত তথ্য জানতে অনেক সময় সরকারি দপ্তরের ওপর ভরসা রাখা যায় না। কর্তা যা চায় সেভাবেই বলে। আশঙ্কার কথা মন খুলে বলতে চায় না, কর্তা নারাজ হবে। আমি আসল খবর জানতে চাই, সেই প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। শুধু আজকের জন্য না।”
তিনি বলেন, “ঘটনা ঘটতে পারে তাতক্ষণিকভাবে খবর পাওয়া যায়, যেদিক থেকেই হোক। দোষী দোষীই, তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “প্রথম কথাটা হল না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হল বড় বিষয়। আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়। এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ।”
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে বৈঠকস্থলে আসেন। বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “দেশের চলমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করছেন।”
জানা গেছে বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজেদুর রহমান, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, জুনায়েদ আল হাবিব ও মুনির হোসাইন কাসেমী, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) মহাসচিব মাহফুজুল হক, ইসলামী বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমদুল্লাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব আবদুল মালেকসহ কয়েকজন আলেম অংশ নিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আড়াই বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পি কে হালদার
বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও এক মাস বাড়লো
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরওবিস্তারিত পড়ুন
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুলকে
বিদেশে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরেরবিস্তারিত পড়ুন