সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি? অবসেশনের পর্যায়ে যাচ্ছে? কী দেখে বুঝবেন?
অনেক ক্ষেত্রে নিজেরই অজান্তে আমরা আমাদের সঙ্গীর প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ি। মনোবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিআসক্তি থেকেই জন্ম নেয় অতিরিক্ত-নির্ভরশীলতা। চাহিদা না-মিটলে যা পরবর্তীকালে ওভার-পজেসিভনের জন্ম দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সম্পর্ক বা ভালবাসা হল বাস্তবে এক ভারসাম্যের খেলা। একটু কম-বেশি হলেও দু’পক্ষকেই আবেগপ্রবণ হতে হয়। দু’জনের চাহিদাই দু’জনের কাছে থাকা জরুরি। যদি, একপক্ষ ক্রমাগত বেশিমাত্রায় পজেসিভ বা অতিআবেগপ্রবণ বা সম্পর্কে আস্থা হারাতে শুরু করেন, তা হলে কোনওভাবেই সুস্থতা বজায় থাকে না।
অনেক ক্ষেত্রে নিজেরই অজান্তে আমরা আমাদের সঙ্গীর প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ি। মনোবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিআসক্তি থেকেই জন্ম নেয় অতিরিক্ত-নির্ভরশীলতা। চাহিদা না-মিটলে যা পরবর্তীকালে ওভার-পজেসিভনের জন্ম দেয়। শেষ পর্যায়টির নাম সন্দেহ। এই সবই একটি সম্পর্ককে শেষ করার জন্য যথেষ্ট।
তাই, সময় থাকতে থাকতে আগে থেকেই বুঝে নেওয়া উচিত আপনি ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছেন। দেখে নিন, সঙ্গীর প্রতি আসক্ত হওয়ার এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
১। সঙ্গীকে ছাড়া কিছুই ভাল লাগছে না। সঙ্গী না থাকলে কোনও সোশ্যাল গ্যাদারিং-এও যেতে ইচ্ছা করছে না।
২। দিনের ব্যস্ত সময়ে বারংবার সঙ্গীকে ফোন করা। তিনি বিরক্ত হচ্ছেন জেনেও নিজেকে আটকাতে না-পারা।
৩। তিনি কী দিচ্ছেন, তা নিয়ে বেশি ভাবা। অন্যদিকে তাঁকে কী দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র না-ভাবা।
৪। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সঙ্গীর গতিবিধির উপরে নজর রাখা। কোথায় লাইক করলেন, কোথায় কমেন্ট করলেন, ফ্রেন্ড লিস্টে নতুন কারা এলেন— এই সব নিয়ে মাথা ঘামানো। তাঁর পাসওয়ার্ড জানার চেষ্টা।
৫। সঙ্গীর অবর্তমানে অলস জীবনযাপন। অর্থাৎ দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, না-খাওয়া, নিজের কর্মক্ষেত্রে মনযোগ সহকারে কাজ না-করা।
৬। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বা বিভিন্ন চ্যাটিং অ্যাপে দু’জনেরই ছবি সঙ্গীর প্রোফাইল পিকচার হিসেবে রাখার বায়না।
৭। পার্টনারে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা।
৮। তিনি তাঁর পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারলে খারাপ লাগা বা খারাপ থাকা। অর্থাৎ, তাঁকে আলাদা কোনও স্পেস না দেওয়ার প্রবণতা।
৯। নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধবকে সময় না-দেওয়া। সঙ্গীকে ছাড়াই তাঁদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া বা আড্ডা মারায় মন না-বসা।
১০। সঙ্গীর কর্মক্ষেত্র নিয়ে মাথা গলানো বা মন্তব্য করা। তাঁর প্রতিটি কাজ সম্পর্কে অতিরিক্ত আগ্রহ প্রকাশ করার মধ্যেও সম্পর্কের প্রতি এবং পার্টনারের প্রতি প্রবল আসক্তি বোঝা যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন