সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আবু খায়েরের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে চিকিৎসা সেবা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে সনদ দেখালে ওই সনদকে ‘চ্যাম্পল’ আখ্যা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসক মো. আবু খায়ের সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি)।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরান হাওলাদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলার চরবগা গ্রামের জেসমিন আক্তারের অ্যাপান্ডিসের সমস্যা দেখা দিলে গত ১ ফেব্রুয়ারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সদর হাসপাতালের আরওএম জেসমিনকে ডা. আবু খায়েরের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে বলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুবিধা ও চিকিৎসা সেবা পেতে কর্তব্যরত ডাক্তার আবু খায়েরকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখান জেসমিনের ভাই পরান হাওলাদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সনদকে `চ্যাম্পল` বলে ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরে হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ও এ্যানেসথেসিয়ার ডাক্তার না থাকার অজুহাত দেখিয়ে রোগীর অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে অপারেশনের কথা বললেও তিনি যন্ত্রপাতি না থাকার কথা বলে অপারেশন করেননি।
পরান হাওলাদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেয়াতে ডাক্তার আবু খায়ের রেগে যান। একপর্যায়ে আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধের সনদ দেখালে তিনি এসব চ্যাম্পলের কোনো মূল্য নেই উল্লেখ করে ছুঁড়ে ফেলে দেন। আর্থিক দূরাবস্থার কারণেই বোনকে সদর হাসপাতালে এনেছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে এতো অসম্মান ও হয়রানি হবে তা ভাবিনি। এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক মো. আবু খায়ের বলেন, রোগীর ফাইলে দুইটি কাগজ দেখে আমি সেগুলো রোগীর হাতে দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ছিল কিনা আমার জানা ছিল না। অ্যানেসথেসিয়ার যন্ত্রপাতির সমস্যার কারণে সোমবার অপারেশন করা যায়নি।
এ ব্যপারে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. গোলাম ফারুক ভূঁইয়া জাগো নিউজকে জানান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কাছে ঘটনাটি শুনে ডাক্তার আবু খায়েরের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। মঙ্গলবার অপারেশের জন্য আমি বলে দিয়েছি।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আর বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না। তারপরও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন
মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ পাওয়ায় চার ফার্মেসিকে জরিমানা
লক্ষ্মীপুর জেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ পাওয়ায় ৪টি ফার্মেসিকে ৫২ হাজার টাকাবিস্তারিত পড়ুন
অবৈধ কোরবানির হাটে আদায় লাখ-লাখ টাকা! মোল্লার হাট
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার একটি জনপ্রিয় হাট হচ্ছে মোল্লার হাট। কোরবানিবিস্তারিত পড়ুন