ভারতের সঙ্গীতশিল্পী সনু নিগম মাইকে আজান দেয়ার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ভারতের গায়ক সনু নিগম মাইকে আজান দেয়ার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়ে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করে জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছেন।’

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘সনু নিগম মাইকে আজানের বিরুদ্ধে কটাক্ষপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সারাবিশ্বের মুসলমান জনগণের ঈমান-আক্বিদার ওপর আঘাত করেছেন। তিনি এ অন্যায় বক্তব্য দিয়ে ভারতের সংবিধানও লঙ্ঘন করেছেন। ভারতের সংবিধানেও সব ধর্মের মানুষের ধর্ম পালনের অধিকারের কথা রয়েছে। তাই সনু নিগমের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

হামিদুর আরো বলেন, ‘দেশবাসী বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দলীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা ভারত থেকে ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক শিল্পীদের ভাড়া করে এদেশে এনে অসাম্প্রদায়িকতার নামে মূলত সাম্প্রদায়িকতার বীজবপন করছেন। এ জাতীয় অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সোমবার ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় টুইটারে একের পর এক মন্তব্য পোস্ট করেন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমি মুসলিম না। তাহলে কেন আজানের শব্দে আমার ঘুম ভাঙানো হবে?’ এরপর তিনি মসজিদে মাইক ব্যবহারের বিরুদ্ধেও কিছু মন্তব্য করেন এবং একে ‘ধর্মবোধ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া’ বলেও বর্ণনা করেন। এছাড়াও মন্দির এবং গুরুদুয়ারাতেও লাউড স্পিকারের শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন গায়ক সনু। তার এ মন্তব্য ভারতসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে জাসদ একাংশের নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদলেরও নিন্দা করেছে জামায়াত। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ওই বিবৃতিতে বলেন, জাসদ নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল দেশের আলেমদেরকে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার ইসলামবিরোধী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশ করলেন।