‘সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ শুনুন, দোষীদের বিচার করুন’
‘আমি এক হতভাগিনী। আমার ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ছেলেকে শোকাবহ আগস্ট মাসের প্রথম প্রহরে হারিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী, সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদ শুনুন। দোষীদের বিচার করুন।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহর মা ফাতেমা আক্তার এসব কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা শহরে বেসরকারি চ্যানেল একুশে টিভির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফাতেমা আক্তার।
গত ১ আগস্ট প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে তাঁর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্বালনের পরে আধিপত্য ও হল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সংঘর্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে ফাতেমা আক্তার আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই এলাহী ও বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম খালিদকে ধরে রাখে ও বিপ্লব চন্দ্র দাস খালিদকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার স্বঘোষিত হত্যাকারী বিপ্লব চন্দ্র দাসকে জামিনে মুক্ত করার জন্য সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’
হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সাইফুল্লাহর আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ মোহেদী হাসানের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছেলে হারা এ মা। সংবাদ সম্মেলনে খালিদ সাইফুল্লার বাবা মো. জয়নাল আবেদীন ও মামা আবদুল আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ফাতেমা বেগম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই এলাহী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, বঙ্গবন্ধু হলের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম, বিপ্লব চন্দ্র দাস ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে মামলার আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে আবেদন করেন। গত ২০ অক্টোবর আদালত ওই নামগুলোকে তালিকায় রেখে তদন্ত পরিচালনা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
গত ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দিন ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত। গত ৫ আগস্ট আটক হয় মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র বিপ্লব চন্দ্র দাস। বিপ্লব গুলি করে খালিদকে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন