সন্তান জন্মের সময় যে তথ্যগুলো মাকে দেন না বিশেষজ্ঞরা
সুস্থভাবে শিশু ভূমিষ্টের জন্য একজন অভিজ্ঞ মানুষের দরকার হয়। এ কারণেই আধুনিককালে মানুষ চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। কিংবা যাদের সে সুযোগ নেই, তাদের প্রসবকালে পাশে থাকেন অভিজ্ঞ কোনো নারী। আসলে এ কাজের বিশেষজ্ঞরা হবু মায়েদের অনেক কিছুই বলেন। কিন্তু এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা তারা কখনোই বলেন না। এগুলো জেনে নিন।
১. শিশুটি হয়তো ততটা বড় নয় : জন্মের আগে চিকিৎসকরা বলে থাকেন, আপনার শিশুটি আকারে বেশ বড়। মনে রাখবেন, গর্ভের শিশুর ওজন ও আকর কেবল ধারণার ওপর ভিত্তি করেই বলা হয়। শেষ সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে যে ধারণা নেওয়া হয় তাকে ১ বা ২ পাউন্ড ওজন বেশি আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা যেসব শিশুদের আকার বড় হবে বলে জানিয়ে দেন, তাদের প্রায় সবার ওজনই স্বাভাবিক হয়ে থাকে।
২. আপনাকে ধাক্কা দিতে হবে না : মায়েরা খুব টেনশনে থাকেন যে তাকে হয়তো যথেষ্ট শক্তিতে শিশুটিকে ঠেলে দিতে হবে। আর সুষ্ঠুভাবে এই ধাক্কাতেই শিশুটি বেরিয়ে আসে বলেই জানেন সবাই। কিন্তু ঘটনাটি প্রকৃতিগতভাবেই ঘটে। শিশুটিকে বের করে দিতে জরায়ু সঙ্কুচিত হতে থাকে। এটি এমনিতেই শিশুটিকে ধাক্কা দিতে থাকে। যখন শিশুর মস্তিষ্কে বিষয়টি সংকেত পাঠায়, তখন সে নিজেও বেরিয়ে আসতে চায়। সব মিলিয়ে প্রসবের জন্য দেহ সহজাত কাজ করে যায়।
৩. ঝকঝকে হতে হবে : অনেকেই মনে করেন, প্রসবের জন্য পেডিকিওর, মেনিকিওর বা অন্যান্য বিষয় ঠিকঠাক করে তবেই প্রস্তুত হতে হবে। অথচ মা গোসল করেছেন কিনা সে বিষয় নিয়েও চিকিৎসকের কোনো চিন্তা নেই। সন্তান জন্মদানের জন্য এগুলোর প্রয়োজন নেই বলেই জানান ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি হেলথ এর ওবি/জিওয়াইএন বিশেষজ্ঞ ড. কেলি ক্যাসপার।
৪. চাইলে খেতে পারবেন : কেউ-ই বলবে না যে, জন্মদানের সময় মা এমনকি খেতে পারবেন। যদি ক্ষুধার্ত থাকেন তো খেতে খেতেই কাজটি করতে পারবেন। অথচ হাসপাতালে নেওয়ার পর আর খেতে দেওয়া হয় না।
৫. বমি ও টয়লেটও হতে পারে : মায়ের ভয় বা টেনশনের কারণে বমি বা টয়লেটও হতে পারে। শিশুকে ধাক্কা দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটতেই পারে।
৬. সময় কিন্তু আরো আছে : অনেক সময় বহু মায়েদের দ্রুত হাসপাতালে চলে যেতে বলেন। আসলে সংক্রমণের সমস্যা থেকে বাঁচতে এমনটা করা হয়। তবে এ তাগাদা যেভাবে দেওয়া হয় তার চেয়ে সময় কিন্তু হাতে থেকে যায়। আসলে অনেক নারী সংক্রমণের ভয় থাকে। এ কারণে তাদের ৭২ ঘণ্টা আগে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়। অনেকের জরায়ুতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। যদি তার সম্ভাবনা না থাকে বলে সময়মতো গেলে ক্ষতি নেই।
৭. পেছনে ঠেলতেও হবে না : যদি মনে করেন, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে গর্ভের শিশুকে ধাক্কা দিতে হবে, তো আবারও ভুল করছেন। বরং আপনি যদি পেছনে দুই হাতের ভরে বসে থাকেন, তবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আপনার শিশুটিকে টেনে বের করতে সহায়তা করবে।
৮. স্পটলাইটের প্রয়োজন নেই : যখন শিশুটিকে বের করে আনতে জরায়ু যথেষ্ট বিস্তৃত হবে তখন ভেতরটা দেখতে চিকিৎসক উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করতে পারেন। আসলে এটা আরো অসুবিধার সৃষ্টি করে। এ সময় জরায়ুর মেলাটোনিন রিসেপ্টরগুলো অক্সিটোসিনের সহায়ক হয়ে ওঠে। এই হরমোন সন্তান জন্মদানে সহায়তা করে। আর কম আলো মেলাটোনিরের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। কাজেই আলো কমিয়ে রাখাই ভালো।
৯. খুব বেশি মানুষ নয় : নতুন অতিথি আসার সময় মা চাইতেই পারেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও চলে আসুক। কিন্তু জন্মদান একান্ত কাহিনী যে সময়টাতে যত কম মানুষ থাকে ততই ভালো। এ ছাড়া যত কম হইচই ও কোলাহল থাকবে ততই ভালো। সূত্র : ফক্স নিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন