সন্তান মাদকাসক্ত হলে কী করবেন? জেনে রাখুন…
কৈশোরে সকল নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়, মন হয়ে ওঠে অদম্য। কখনও অধিক উৎসাহ, কখনো পারিবারিক অশান্তি আবার কখনো হতাশাগ্রস্থ হয়ে মাদকের মত ভয়ংকর বিষয়ে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে আপনার সন্তান। জেনে নিন কি করবেন এমন পরিস্থিতিতে।
কারণ খুঁজে বের করুন
আপনার সন্তান কিভাবে মাদকাসক্ত হল তা জানার চেষ্টা করুন। সে কি বন্ধুদের প্রভাবে মাদক গ্রহন করছে? নাকি তার ভেতরে বাসা বেধেছে কোন হতাশা? সেই হতাশার কারণ কি? কিশোর বয়সে মাদকাসক্ত শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পড়াশোনার চাপ, খারাপ ফলাফলের জন্য তিরস্কার, পারিবারিক অশান্তি এই সব কারণে হতাশ হয়ে মাদক গ্রহণে প্রলুব্ধ হয় তারা।
বন্ধু হোন
মাদকাসক্ত কিশোরকিশোরীদের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা বন্ধুত্ব। তাঁকে আস্থা দিন যে আপনি তার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছেন। আপনি বিশ্বাস করেন, মাদক গ্রহণ ভুল কিন্তু আপনার সন্তান নিষ্পাপ। তাঁকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আপনি সব করতে পারেন। আপনার ভরসা তাঁকে আত্ববিশ্বাস দেবে।
মনোযোগ দিন
আপনার সন্তানের প্রতি মনোযোগী হোন। আপনার সন্তান কখন কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কাদের সাথে মিশছে খেয়াল করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে খোঁজ নিন কোথায় আছে সে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই বন্ধুসুলভ হতে হবে আপনার জিজ্ঞাসাগুলো। নচেৎ হিতে বিপরীত হতে পারে।
মাদক বিষয়ে সরাসরি কথা বলুন
আগে থেকে মাদক বিষয়ে কথা বলুন আপনার সন্তানের সাথে। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষণ মানুষের চিরন্তন। মাদককে নিষিদ্ধ নয়, ক্ষতিকর হিসেবে তুলে ধরুন।
নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা
আমরা অভিভাবকেরা আমাদের সন্তানদের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক সময় তাদের উপর চাপিয়ে দিই নিজেদের মত। আপনার সন্তানের মাদকাসক্তি ধরতে পেরে আপনি তার বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন, তার ফোনে কথা বলা, বন্ধুদের সাথে মেশা সবকিছুতে বসিয়ে দিলেন নিষেধাজ্ঞা। কৈশোর মন কি মানবে এই বন্ধন?
প্রথমেই ‘না’ নয়
প্রথমেই নেতিবাচক না হয়ে তাঁকে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার ‘না’ তাঁকে আরও সতর্ক করে দিতে পারে। এতদিন সে যতটা লুকিয়ে মাদক গ্রহণ করতো আপনার নিষেধাজ্ঞার পর সেই গোপনীয়তার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। অথচ আপনি হয়ত ভাবছেন, আপনার সন্তান মাদকের আসক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে।
পরিবারের সবার চেষ্টা
শুধু মা-বাবার নয় কিশোর বয়সের সন্তানকে মাদক মুক্ত রাখতে সহযোগিতা করতে হবে পরিবারের সবাইকে। তাই লুকিয়ে না রেখে বিষয়টি তাদের সাথে ভাগাভাগি করুন। সবার সহযোগিতাই তাঁকে ফিরিয়ে আনবে সুস্থ্য জীবনে।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ভেবে হতাশ হবেন না। আপানার সন্তানকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যান। লোকলজ্জার ভয় করে তাঁকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দেবেন না। আপনার চেয়ে বড় আশ্রয় তো তার আর কেউ নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানে জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিএনসি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর দেশে কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দের ঘটনায়বিস্তারিত পড়ুন
শপথ করছি, মাদক ছোঁব না
মাইকে ঘোষণা হলো ‘এখন মাদকের বিরুদ্ধে আমরা শপথ নেবো’। শপথবিস্তারিত পড়ুন
ক্ষতি বছরে ১ লাখ কোটি ডলারঃ ধুমপানের পিছনে
ধুমপানে প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হয় এক ট্রিলিয়ন বাবিস্তারিত পড়ুন