সন্তান যখন মারা যাচ্ছে, বাবা তখন সেক্সটিং করায় ব্যস্ত
গাড়িটা হ্যারিসের, ভেতরটা দারুণ গরম। পেছনের ছিটে বসে রয়েছে তার ছেলে কুপার। মাত্র ২২ মাস বয়সী ছেলেটি যখন মারা যাচ্ছিল, তখন বাবা তার টিনএজ বান্ধবীকে সেক্সটিং করছিলেন। জর্জিয়ার ৩৫ বছর বয়সী রস হ্যারিস পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হন।
জুরিরা সবাই বসে পুলিশের দেওয়া একটি ভিডিও দেখেছেন। ইন্টারোগেশন কক্ষে বসে হ্যারিস এবং তার স্ত্রী জবানবন্দী দেন পুলিশকে।
হ্যারিসের বিরুদ্ধে তার শিশু পুত্রের মৃত্যুর দায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি একমেয়েকে নিজের পুরুষাঙ্গের মতো আপত্তিকর ও অশ্লীল ছবি টেক্সট করারও দায় আনা হয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে হ্যারিস ১৬ বছর বয়স থেকে সেক্সেটিং করছে।
মেয়েটির বয়স এখন ১৯। জানান, তার সঙ্গে হ্যারিসের পরিচয় অনলাইন অ্যাপ ‘হুইসপার’-এ। যোগাযোগের শুরু থেকেই তারা যৌনতাপূর্ণ ছবি ও টেক্সট চালাচালি করতে থাকেন। পরে তা সাধারণ কথা-বার্তায় রূপ নেয়। তারা একসঙ্গে হলে কিভাবে সেক্স করবেন তা নিয়েও কথা বলতেন। পরে হ্যারিস তার পুরুষাঙ্গের ছবি পাঠান মেয়েটিকে। এসব ছবি বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। হ্যারিসও মেয়েটিকে তার যৌনাঙ্গে ছবি পাঠতে বলে অসংখ্যবার। কিন্তু মেয়েটি কখনোই পাঠায়নি।
এ ঘটনায় টিনএজ মেয়েটির অপরাধ গৌণ বলেই মন্তব্য করেন প্রসিকিউটর চাক বোরিং। প্রসিকিউটররা বলেন, হ্যারিস তার ছেলেকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলেছেন। তিনি একজন স্বামী ও বাবার ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে হ্যারিসের যৌন সম্পর্ক ছিল। অনলাইনে বা দেখা করে এসব সম্পর্ক চালাতেন হ্যারিস।
কুপারের দুঃখজনক মৃত্যু ঘটে ২০১৪ সালের ১৮ জুন। হ্যারিসের গাড়ির পেছনের সিটে সে ৭ ঘণ্টা বসেছিল। হ্যারিস ওইদিন ছেলেকে নিয়ে সরাসরি অফিস করতে যান এবং ছেলেকে গাড়িতেই রাখেন। ওইদিন অফিসে বসেই টিনএজ বান্ধবীকে সেক্সটিং করছিলেন তিনি। বান্ধবীকে স্তনের ছবি পাঠাতে বলছিলেন। জবাবে বান্ধবী লিখেছেন, আমি দারুণভাবে রোদে পুড়েছি। এর পর তার স্তনের ছবি পাঠায়। এরপর হ্যারিস লিখেছেন, ইয়ামি।
এর কয়েক ঘণ্টা পর হ্যারিস তার বাচ্চাকে গাড়িতে মৃত অবস্থায় পান। তাকে নিয়ে যান কব কাউন্টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে। গোয়েন্দারের সঙ্গে কথা বলেন বাবা। এসব ভিডিও দেখেন জুরিরা।
এমনটা মোটেও ইচ্ছা করে করেননি বলেই দাবি করেন হ্যারিস। শিশুর মৃত্যুর দায় তার ওপর আনা হবে বলা হয়ে হ্যারিস ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, শিশু নির্যাতনের কোনো ইতিহাস আমার জীবনে নেই। আমার কোনো গৃহনির্যাতনের ঘটনাও নেই। আমি একজন আদর্শ বাবা।
ওইদিন বিকালেই হ্যারিস ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ৪০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হ্যারিস ও তার স্ত্রী আরো সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করছেন।
তবে এ বছরের প্রথম দিকেই হ্যারিসের স্ত্রী ডিভোর্স নেন। বর্তমানে হ্যারিসের মামলাটি কম কাউন্টি থেকে আটলান্টায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন