সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার : হান্নান শাহ
সরকার রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সন্ত্রাস দমনের কাজে না লাগিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
তিনি বলেন, এর ফলে পরোক্ষভাবে তারা (সরকার) সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। যে কারণে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এর আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।
হান্নান শাহ বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তরের কাছে মিলিটারি পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখন দেশে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রক্ষীবাহিনীর ধ্যানধারণা ভুলে যায়নি। আশঙ্কা করছি, সরকার আবারও রক্ষীবাহিনী করে কি না? আগে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারে গ্রামগঞ্জের মানুষ থাকতে পারেনি আর এখন সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শান্তি রক্ষার নামে পুলিশ সারা দেশে অভিযান চালিয়ে বাণিজ্য করছে। এরই মধ্যে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে হান্নান শাহ বলেন, ‘বিদেশি নাগরিক হত্যায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বলা হলো এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত। আর তদন্ত কর্মকর্তারা এখনো বলছেন, তারা কোনো ক্লু পায়নি। আসল কথা হলো ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।’
৭ নভেম্বরের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই দিন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছে। দেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নতির দিকে যেতে শুরু করে।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন