বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর তা ছড়িয়ে দেয় তিন কিশোর। এ অভিযোগে রবিবার তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৭ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের আলুকদিয়া গ্রামে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মেয়েটি স্থানীয় শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রবিবার রাত পৌনে ১১টা) থানায় কোনও মামলা হয়নি।

আটকরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের আলুকদিয়া গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে ও বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আনোয়ার শেখ (১৮), একই গ্রামের আনসার শেখের ছেলে বরিশাল মেডিক্যাল ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থী সোহাগ শেখ (১৯) এবং শরিফুল খাঁর ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শহীদ খাঁ (১৪)।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী কয়েক কিশোর স্কুলে যাওয়া আসার পথে মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল। গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় মেয়েটি বাড়ির পাশে কালাম শেখের বাগানে রাজহাঁস আনতে যায়। এসময় প্রতিবেশী আনোয়ার, সোহাগ ও শহীদ নামে তিন কিশোর ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তারা মোবাইলে মেয়েটির ভিডিও ধারণ করে। পরে তা বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায়। প্রাণের ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চুপচাপ থাকে মেয়ে।

গত ২৬ মার্চ গ্রামের বিভিন্ন লোকের মোবাইলে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশকে জানায় মেয়েটির বাবা। পরে পুলিশ ওই তিন কিশোরকে আটক করে।

শহীদ নায়েক আব্দুল জব্বার মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক খান রেজাউল ইসলাম বলেন, মেয়েটির প্রতিবেশী তিন তরুণ তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময়ে তারা বেশকিছু ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে। স্থানীয়ভাবে ধর্ষণকারীরা মেয়েটির পরিবারকে ম্যানেজ করতে না পেরে তারা কিছু ছবি বিভিন্ন লোকের কাছে ব্লুটুথের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে শুনেছি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তিন কিশোরকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সময়ে তারা যে মোবাইলফোনে ভিডিও ধারণ করেছিল সেই মোবাইলফোনও জব্দ করা হয়েছে।