সফল মানুষেরা যে পথগুলো অবলম্বন করেন ঝুঁকি নেবার ক্ষেত্রে !
সাফল্যের কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। প্রত্যেকটি সফল মানুষের গল্পই একটু হলেও আলাদা। কিন্তু এত ভিন্নতার পরেও প্রতিটি সফল মানুষের ভেতরে একটি মিল থেকেই যায়। আর সেটা হচ্ছে ঝুঁকি নেওয়া। বলা হয়, যত বড় ঝুঁকি, তত বড় লাভ। আর সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে জীবনে প্রতিটি সফল মানুষই ঝুঁকি নিয়েছেন আর নির্দিষ্ট কিছু পথকে ধরে ঝুঁকিটা নিয়েছেন। ভাবছেন, ঝুঁকি নেওয়ারও কোন আলাদা নিয়ম আছে নাকি? সত্যি বলতে গেলে কিছুটা হলেও আছে! আর তাই আসুন জেনে নিই ঝুঁকি নেওয়ার সঠিক পন্থাটিকে।
১. লক্ষ্যের দিকে মনযোগ
সফলতা পেতে চাইলেই সেটা আসে না। আর তাই সফল হতে হবে এ চিন্তা ছেড়ে ঠিক কি করতে চান আপনি সেটার দিকে মনোনিবেশ করুন। নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। একবার সেটা করে ফেলতে পারলে সফলতা আপনা-আপনিই চলে আসবে। এই যেমন স্টিভ জবসের কথাই ধরুন না! কোনরকম সফলতার ইচ্ছে ছিলনা তার। একমাত্র লক্ষ্য ছিল সবার হাতে প্রযুক্তিকে এনে দেওয়া। আর সেটা করে দেখিয়েছেনও তিনি। ফলে তাকে অনুসরন করে সফলতাও এসে দাড়িয়েছে খুব সহজেই।
২. ধৈর্য্য রাখা
ধৈর্য্য মানে এই নয় যে কিছু না করে সঠিক সময়ের জন্যে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা। কাজ তো করতেই হবে। তবে তার সাথে সাথে কেন আপনার কাজের তক্ষুণি কোন ভালো ফলাফল হচ্ছেনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামালেও চলবেনা। সফলতা আসবে। তবে তার জন্যে আপনার অপেক্ষা করতে হবে। সেইসাথে কোনরকম বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও তক্ষুণি কোন সিদ্ধান্তে না আসবার মতন ধৈর্য্যও রাখতে হবে মনে।
৩. বুদ্ধিমত্তায় বিশ্বাস রাখা
প্রতিটি সফল মানুষই কিছু করার আগে এর ফলাফল কী হতে পারে সেটা ভেবে নেন। বিশ্বাস রাখেন নিজের ওপরে, নিজের বুদ্ধিমত্তার ওপরে। কারণ তারা জানেন, আর সবকিছু হাত থেকে চলে গেলেও নিজের মাথা নিজের কাছে থাকবে। আর সেইসাথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও। আর তাই যেকোন কিছু করার আগে নিজের ওপর বিশ্বাস আর বুদ্ধিমত্তাকে জড়ো করার চেষ্টা করেন তারা।
৪. ইতিবাচক ধারণা রাখা
অনেকেই ঝুঁকি নেওয়ার সাথে নেতিবাচক একটা ধারণাকে জড়িয়ে ফেলেন। কিন্তু ঝুঁকি নিলে কি কেবল খারাপ কিছুই হতে পারে? হতে পারে অসম্ভব ভারো কোন ফলাফলও। আর তাই প্রস্তুত থাকুন ভালো কোন সম্ভাবনার জন্যেও। কে জানে, প্রস্তুতির অভাবেই হয়তো ভারোকিছুকে সময়মতন কাজে লাগাতে পারলেন না আপনি আর ঝুঁকিটাকে ব্যর্থ করে দিলেন। তাই প্রস্তুত থাকুন আগেভাগেই।
৫. ঝুঁকিকে চিহ্নিত করা
সফলেরা ঝুঁকি নেওয়ার আগে কয়েকটা ব্যাপার জেনে নেন। আর সেগুলো হচ্ছে, ঝুঁকিটা কাদের হাতে আর কারা সেটাকে নির্ধারণ করবে। ঝুঁকি যাদের হাতে, অর্থাত্, কর্মচারীদেরকে সঠিকভাবে চালানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই সাথে ঝুঁকির নির্ধারনকারী ক্রেতাদের মনকেও বোঝার চেষ্টা করেন। আর খুব বেশি জটিল না করে পুরো ব্যাপারটাকে অনেক বেশি সোজাসাপ্টা বুঝতে চান তারা। ফলে সরলভাবেই ঝুঁকি নিয়েও সেটাকে কমাতে পারেন তারা।
যে পথগুলো
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন