সব মনোযোগ তামিম-জিয়ায়
ব্লগার, লেখক, বিদেশি নাগরিক ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দেশে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত দুই জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এবিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের প্ররোচনা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়া মেজর (বরখাস্ত) জিয়া। আর জেএমবি পুনর্গঠন করে তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম আহমেদ চৌধুরী। উভয় সংগঠন মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে তরুণদের দলে ভিড়িয়ে তাদের দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে। তামিমকে সহায়তা করছেন জিয়া। তাঁদের ধরিয়ে দিলে বা তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লাখ করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ। এ দুজনকে ধরতে পারলে নাশকতায় জড়িত অন্যদের নাগাল পাওয়া সহজ হবে এবং জঙ্গিবাদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নতুন জেএমবি গড়েছেন তামিম : জেএমবি নতুন করে সংগঠিত হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে গোয়ন্দাদের কাছে। তাঁরা বলছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটি পুনর্গঠনের পেছনে যাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তিনি তামিম আহমেদ চৌধুরী। দীর্ঘদিন কানাডায় ছিলেন তিনি। ঘরছাড়া তরুণরা বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বে টার্গেট কিলিং ও জঙ্গি হামলা চালাচ্ছে।
গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথম যে নিখোঁজ ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছিল এর শুরুতেই তামিমের নাম রয়েছে। তাঁকে গুলশান হামলার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
জানা যায়, তামিমের জন্ম ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই, কানাডায়। তাঁর বাবার নাম শফিক আহমেদ। বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামে। ব্যক্তি জীবনে তামিম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। বাংলাদেশে বসবাসরত আত্মীয়দের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
একটি গোয়েন্দা সূত্র মতে, তামিম এক সময় কানাডার উইন্ডসরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাবা এক সময় জাহাজে চাকরি করতেন। তামিমের দাদা আব্দুল মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। সে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে তামিমের বাবা সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর তামিম সর্বশেষ দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন। এর পর থেকেই নিখোঁজ তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর দুবাই থেকে ইতেহাদ এয়ারলাইনসের একটি বিমানে তামিম বাংলাদেশে আসেন। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, তামিম বর্তমানে পাঁচ সহযোগীর সঙ্গে ভারতে রয়েছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, এ তথ্য ঠিক নয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের দাবি, গুলশান হামলার আগে তামিম জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, তামিম মূলত জেএমবিকে নতুন করে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। কানাডায় থাকাকালে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তুলে তামিম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলে টেনেছেন তিনি। তাদের ব্যবহার করে নাশকতা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, তামিমের আরেক নাম শেখ আবু ইব্রাহিম। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামী স্টেটের (আইএস) মুখপত্র বলে পরিচিত ‘দাবিক’ ম্যাগাজিনের ১৪তম সংখ্যায় তামিমকে আইএসের বাংলাদেশ প্রধান দাবি করা হয়েছিল। এর পর পরই ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জে পরপর হামলা হয়।
গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তামিম চৌধুরীর সর্বশেষ অবস্থানের খবর জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘সে দেশে থাকতে পারে, দেশের বাইরেও থাকতে পারে। আমরা তাকে খুঁজছি। গুলশান ঘটনার আগে দেশেই ছিল।’
আইজিপি বলেন, “তামিমের সঙ্গে জেএমবির ‘নতুন ধারার’ একটি গ্রুপ রয়েছে এবং তাদের পুলিশ ‘মোটামুটি’ চিহ্নিত করতে পেরেছে। গুলশানে হামলাকারীদের তামিমই রিক্রুট করেছে, ঘটনার আগে তাদের ব্রিফিং দিয়েছে, তাদের পাঠিয়েছে এবং ঘটনার সময় তাদের এগিয়ে দিয়েছে সে। আমরা এ ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি। তামিমকে গ্রেপ্তার করা গেলে তদন্তে অনেক অগ্রগতি আসবে।”
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা জানায়, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২২ জনকে হত্যার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন তামিম। ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান ও ৯ জঙ্গি নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তামিমকেও আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় তামিমসহ নব্য জেএমবির ১০ জনকে আসামি করা হয়। বাংলাদেশে তামিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলা বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়।
কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের ‘নব্য জেএমবির সদস্য’ দাবি করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিরা জেএমবির নব্য দলের সদস্য। এই নব্য জেএমবির নেতা হিসেবে তামিম চৌধুরীর নাম পাওয়া গেছে। মূলত তামিমের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অস্ত্র, অর্থ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে।
এবিটির নেতৃত্বে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া : ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের প্ররোচনা চালিয়ে ব্যর্থ হন মেজর জিয়া। তখন থেকেই তিনি পলাতক। পরে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মো. জিয়াউল হক।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আগে থেকেই উগ্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মেজর জিয়া। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) তৎকালীন তাত্ত্বিক নেতা মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৩ সালে এবিটিতে জিয়ার কার্যক্রম প্রকাশ পায়। জসিমউদ্দিন রাহমানী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, জসিমউদ্দিন রাহমানীর অবর্তমানে মেজর জিয়াই এবিটি নিয়ন্ত্রণ করছেন। সংগঠনের সদস্যদের বোমা তৈরিসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরেক শীর্ষ জঙ্গি নেতা আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) কমান্ডার এজাজেরও একসময় ঘনিষ্ঠতা ছিল। গত বছর পাকিস্তানের রাজধানী করাচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এজাজ নিহত হন।
মেজর জিয়ার বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। তাঁদের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। ঢাকায় সর্বশেষ মিরপুর সেনানিবাসের একটি ভবনের ১২ তলায় থাকতেন তিনি।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর (বরখাস্ত) জিয়া এখন এবিটির সামরিক শাখার প্রধান। গোয়েন্দাদের দাবি, পলাতক জিয়ার নেতৃত্বেই দেশে একের পর এক ব্লগার-লেখকসহ প্রগতিশীল লোকজনকে হত্যা করা হচ্ছে। যদিও বরাবরই ব্লগার হত্যার দায় স্বীকার করছে আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠন, যারা নিজেদের আল-কায়েদার বাংলাদেশ শাখা বলে দাবি করে। তবে এবিটিই আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ নামে সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে মনে করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, পালিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন জিয়া। পরে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেন জঙ্গি তৎপরতায়। ঢাকায় অবস্থান করেই তিনি সংগঠনকে সক্রিয় করছেন। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছে কয়েকটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা। বিভিন্ন ধরনের সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ওই সব গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এবিটির আকস্মিক উত্থানের সঙ্গে জিয়ার জড়িত থাকার বিষয়টি গোয়েন্দাদেরও ভাবাচ্ছে। জিয়া সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে ছিলেন। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। তখন জিয়া ছাড়াও প্রবাসী ব্যবসায়ী ইশরাক আহমেদ সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। গত দুই বছরে বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক-প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন হত্যার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আবারও জিয়ার নাম আলোচনায় আসে।
গোয়েন্দাদের দাবি, শুরুর দিকে ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কয়েক দিন আত্মগোপন করে ছিলেন জিয়া। এরপর কখনো চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, টেকনাফ-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পলাতক জিয়ার নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়ে এবিটি আরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছে বলে তথ্য মিলেছে। জিয়াকে ধরতে পারলে এবিটি অনেকটা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে এবং দেশে এবিটির কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমে আসবে বলে আশা করছেন গোয়েন্দারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জঙ্গি দমনসংক্রান্ত সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আনসারুল্লাহর মাধ্যমেই ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। মেজর (বরখাস্ত) জিয়া দেশে থেকেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে তথ্য রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এবিটির ধরা পড়া সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জিয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশে এখনো শতাধিক এবিটি সদস্য সক্রিয়। তারা সবাই ‘সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’। হত্যার কাজে তারা চাপাতি ব্যবহার করলেও তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকারও প্রমাণ মিলছে। সর্বশেষ রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডের সময় তারা চাপাতি ব্যবহার করলেও তাদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক পিস্তল।
পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, একসময় ঢাকার বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে ছিলেন জিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের নেতাকর্মীদের বাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মেস, এমনকি বস্তিতেও থেকেছেন তিনি। অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর জিয়া সাত দিন আত্মগোপনে ছিলেন মধ্যবাড্ডার এক বাসায়। ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য আহমেদ রফিক তাঁকে আশ্রয় দেন। আহমেদ রফিক মধ্যবাড্ডার একটি বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এর আগে জিয়া সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন কালের কণ্ঠকে। রফিকের মা লিলি বেগম সেই সময় জানিয়েছিলেন, ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে তাঁদের বাসায় গিয়েছিলেন জিয়া। তিনি রফিকের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। এ কারণে জিয়াকে আশ্রয় দিয়েছিলেন রফিক।
গোয়েন্দা সূত্র মতে, এবিটির সদস্যদের বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে আসা শিক্ষিত যুবক। জিয়ার সঙ্গে আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরির যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও তথ্য রয়েছে। ২০১৫ সালের মে মাসে একিউআইএসের নেতা আসিম ওমর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার দায় স্বীকার করলেও গোয়েন্দারা বরাবরই বলে আসছেন, এবিটির স্লিপার সেলের সদস্যরাই অভিজিেক হত্যা করেছে।
জিয়াকে ধরতে না পারার পেছনে গোয়েন্দা ব্যর্থতা রয়েছে কি না জানতে চাইলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, জিয়াকে ধরতে তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে গোয়েন্দাদের মধ্যে এমন ধারণাও সৃষ্টি হয়েছে যে জিয়ার সঙ্গে দেশের প্রভাবশালী চক্রের ভালো সম্পর্ক আছে। কয়েকটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামিদের অনেকেই জিয়াকে সহযোগিতা করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপকবিস্তারিত পড়ুন
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
টানা দুই দফা কমার পর দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দামবিস্তারিত পড়ুন
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়কবিস্তারিত পড়ুন