সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘সম্পদ না দিতেই’ সুস্থ মেয়েকে ক্লিনিকে রেখেছেন বাবা

সুস্থ থাকার পরও মেয়েকে পাবনার একটি মানসিক ক্লিনিক থেকে বাবা নিয়ে যাচ্ছেন না। সম্পদ না দিতেই ক্লিনিকে ফেলে রেখেছেন বলে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মেয়ে।

স্বামীর বিচ্ছেদ, মায়ের মৃত্যুর পর বাবার দ্বিতীয় বিয়ে ও ভাইকে কারাগারে পাঠানোর চাপে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন নাহিদা আক্তার বীথি (৩১)। ক্লিনিকে ভর্তির পর চট্টগ্রামের হরিদাসপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের মেয়ে বীতি এখন সুস্থ হয়েও সেখানে এক ধরনের বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। সুস্থ রোগীকে না নিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

তাই এ বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাবনার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এতেও কাজ না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর বীথির বাবার কাছে আইনি নোটিশ পাঠায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশের জবাবে ‘ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মেয়েকে জোর করে আটকে রেখেছেন’ বলে উল্টো অভিযোগ করেন।

তবে বীথির অভিযোগ, সুস্থ হয়ে ওঠার দেড় বছর পরও শুধু সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতেই বাবা তাঁকে ক্লিনিক থেকে নিয়ে যাচ্ছেন না। এমনকি বিন্দুমাত্র খোঁজও নেন না।

ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের শেষের দিকে পাবনার সুরমা মানসিক ক্লিনিকে ভর্তি করেন বীথির বাবা। ভর্তির ছয় মাসের মাথায় বীথি সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনো তাঁকে নিয়ে যাননি বাবা।

পাবনার সুরমা মানসিক ক্লিনিকের পরিচালক সায়েন শেখ বলেন, বীথি ক্লিনিকে ভর্তির পর পাবনা মানসিক হাসপাতালের তৎকালীন চিকিৎসক ডা. জোবায়ের মিয়া তাঁর চিকিৎসা করেন। ভর্তির ছয় মাসের মাথায় সুস্থ হয়ে ওঠেন বীথি। এরপর বীথির সুস্থতার বিষয়টি তাঁর বাবাকে জানিয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ক্লিনিক পরিচালক আরো জানান, ভর্তির পর একদিনের জন্যও নিজের মেয়ের খোঁজ নেননি বাবা।

গত রোববার ওই ক্লিনিকে গিয়ে কথা হয় নাহিদা আক্তার বীথির সাথে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্দ্বীপের বুলবুল আহম্মেদ নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের পরিবারের টাকায় বিদেশ যান বুলবুল। বছর খানেক পর স্বামী-স্ত্রী ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর মধ্যে ২০০৬ সালের ২৮ মে তাঁর মা মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাবা। এরপর থেকেই বীথি ও তাঁর বড় ভাই বরকতের ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ভাইকে পাঠানো হয় জেলে। একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় বীথিকে ভর্তি করা হয় ক্লিনিকে।

এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাহিদা আক্তার বীথি। সবার সহযোগিতায় বীথি ক্লিনিক থেকে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

প্রতীকী ছবি

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন

  • শামীম ওসমান থাকার গুজবে রিসোর্টের সামনে মানুষের ভিড়, সেনাবাহিনীর তল্লাশি
  • নরসিংদীতে সন্ত্রাসী হামলায় হার্ট এ্যাটাক হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
  • ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
  • ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা