সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পরেও যে কারণে বিবাহিত জীবনে তারা একত্রে থাকেন
বহু মানুষকেই দেখা যায় সঙ্গীর সঙ্গে প্রচণ্ড বিবাদে জড়িয়ে পড়ার পরেও একত্রে থাকতে। শুধু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেনা। কিছুদিন আগেই হলিউডের স্টার জনি ডেপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী অ্যামবার হার্ড। তিনি জানান, জনি তাকে নির্যাতন করেছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি তার মুখের নির্যাতনের দাগসহ ছবিও দেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
আদালতে জনি ডেপের স্ত্রী জানান, তাকে জনি গত তিন বছরে বহুবার নির্যাতন করেছেন। এ নির্যাতনের মধ্যে ছিল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শুধু এ দম্পতির ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি ঘটেছে, এমনটা নয়। বহু দম্পতির ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
কিন্তু কী কারণে বিষাক্ত সম্পর্ক চালিয়ে যান বহু দম্পতি? এ বিষয়ে মনোবিদরা কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করছেন। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু কারণ।
১. অনিশ্চয়তা
সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকে অজানা আশঙ্কায় বিষয়টি চেপে যান। দম্পতিরা পরস্পরের ঘোরতর শত্রু হওয়ার পরেও অনাগত দিনের আশঙ্কার কারণে এক ছাদের নিচে বসবাস করতে থাকেন। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরে আর্থিক নিশ্চয়তা কে দেবে এমন প্রশ্নটি বহু দম্পতির ক্ষেত্রে বড় করে দেখা দেয়। এছাড়া সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, সামাজিক চাপ ইত্যাদিও সম্পর্ক বিচ্ছেদে বাধা হয়ে দেখা দেয়।
২. শিশুর দেখাশোনা
বাবা-মায়ের সম্পর্ক যদি বিচ্ছেদে গড়ায় তাহলে শিশুরা সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হয়। এ কারণে বহু দম্পতিই সম্পর্ক বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তারা অনেকেই শিশুর কল্যাণের কথা চিন্তা করে সম্পর্ক বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন। শিশুর ওপর মানসিক চাপ ছাড়াও শিশুর দেখাশোনা করার বিষয়টিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিষাক্ত সম্পর্ক বুঝবে কিভাবে?
সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কি না, তা কিভাবে বুঝবেন? এক্ষেত্রে মনোবিদরা বলছেন, সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার বিষয়টি সবার আগে বোঝা যাবে সম্পর্ক ভয়ের হয়ে উঠেছে কি না তার ওপর ভিত্তি করে। দম্পতিদের কেউ যদি অনুভব করেন যে অপরজনের মুখোমুখি হতে ভয়ের অনুভূতি কাজ করছে কিংবা কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
এছাড়া দম্পতিদের একজন যদি অন্যজনের ওপর কোনো বিষয় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, হয়রানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ করতে চান তাহলে তা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায় এবং সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। এছাড়া রয়েছে শারীরিক নির্যাতন ও জোরপূর্বক যৌনতার মতো ঘটনা, যা বিবাহিত জীবনের জন্য অশনি সংকেত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন