সম্পাদক মাহফুজের বিরুদ্ধে মামলা মানা যায় না : ড. কামাল

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর তোপখানা রোড়স্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে “ভাষা আন্দোলনের শিক্ষা ও ছাত্র সমাজের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের নামে একটি সংগঠন এই সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল বলেন, ‘এতগুলো মামলা কেনো করা হচ্ছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। এসব মামলার ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
সংবিধানে স্পষ্টতার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘সংবাদপত্রে বাক-স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়া আছে। এতো বছর পর মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ৭১-৭২টি মামলা হয়েছে, মানুষ অলরেডি জবাব চাইতে শুরু করেছে। সারা পৃথিবীতে মামলা দায়েরের ঘটনায় আওয়াজ উঠেছে। যারা এসব মামলা করেছে এদেশের মানুষ তাদেরকে যথাসময় জবাব দেবে।’ এব্যাপারে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল।
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লোভ-লালসা ত্যাগ করে এখনও সংগ্রামে আছি। আমি মন্ত্রী হবো না। অতীতে আমার ফোরাম ছেড়ে যারা চলে গেছে তারা মন্ত্রী হয়েছে, গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছে।’
সম্প্রতি দেশের রাজনীতিবিদের রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এ দেশ কোনো গোষ্ঠী, ব্যক্তি বা দলের না। এ দেশটাকে দলীয়করণ করার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে। এখন ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যের নামে যা হচ্ছে, এই শব্দগুলো কোনো সভ্য দেশে নেই।’
বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙ্গিয়ে একটি গোষ্ঠী অপর্কম চালাচ্ছে অভিযোগ করে ড. কামাল বলেন, ‘এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার আমি প্রতিবাদ জানাই।’ বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা গরু-ছাগলের জাতি না। কারণ আমরা মানুষ। গরু-ছাগলের মাথা কেনা যায়, আমাদের মাথা কেনা যায় না।’
১৬ ডিসেম্বর কালো টাকা এবং দুনীর্তির কারণে বিজয় হয়নি জানিয়ে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই যদি এক হয়ে থাকি, তাহলে স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশ থেকে চলে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের নামে যে ব্যবসা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। দেশে তথাকথিত কতগুলো নির্বাচন হচ্ছে। এর প্রতিরোধে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’
ড. কামাল আরো বলেন, ‘জাতীয়তাবাদের চেতনাকে কেন্দ্র করে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৯ এবং ৬৯, ৭০ এবং ৭১ সালে পাকিস্তানকে হটিয়ে জাতীয়তাবাদের চেতনা বাস্তবায়িত হয় এ দেশে। এদেশের মানুষ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতা অর্জন করেছে। তারা শোষিত, নিগৃহীত, অধিকার বঞ্চিতের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিল। ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে এসব সম্ভব হয়েছে।’
সংবিধানে বৈষম্য দূরীকরণ ও দুনীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করার কথাও উল্লেখ করেন ড. কামাল হোসেন।
আজম রূপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মনসুর ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিদের শিক্ষা ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট (আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের সূচি)বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি, জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ
কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানী ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটবিস্তারিত পড়ুন

ফের রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, জেনে রাখুন করণীয়
বাংলাদেশের অত্যন্ত বিষধর সাপের মধ্যে একটি রাসেলস ভাইপার। স্থানীয়ভাবে এটিবিস্তারিত পড়ুন