সময় নষ্ট করার মত হলিউডের ১০টি বাজে সিক্যুয়েল সিনেমা
সিনেমায় যতই আবেগপূর্ণ কাহিনী থাকুক না কেন, দিন শেষে এই মাধ্যমটি কিন্তু একটি ব্যবসা। কিছু কিছু সিনেমা আছে, যেগুলো এতো বেশি দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পায়, যার কারণে নির্মাতারা এর পরবর্তী পর্ব বানাতে উৎসাহী হয়। যাকে সিনেমার ভাষায় সিক্যুয়েল বলা হয়।
অন্যান্য ক্লাসিক সিনেমাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে প্রথম সিনেমাগুলো যেভাবে বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল, সিরিজের বাকিগুলো তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। তেমন কিছু সিক্যুয়েল ছবির তালিকা করেছে সিনেমা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট টেস্ট অব সিনেমা। এই তালিকায় হলিউডের ১০টি এমন সিনেমা রয়েছে, যেগুলোর প্রথম পর্বের সাফল্য দেখে নির্মাতারা সিক্যুয়েল বানাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু হতাশার ব্যাপার হচ্ছে, এই ১০টি সিনেমাই মুখ থুবড়ে পরেছিল বক্স অফিসে।
চলুন দেখে আসা যাক সেই সব সিনেমার নাম যেগুলো প্রথম পর্বের মান ধরে রাখতে পারেনি।
ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল
২০০৮ সালে মুক্তি পায় এই ছবিটি। এটি ইন্ডিয়ানা জোন্স সিরিজের চতুর্থ পর্ব। খ্যাতনামা পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের পরিচালনায় ১৯৮৪ সালে প্রথম নির্মাণ করা হয় এই সিরিজের প্রথম ছবিটি। সব কয়টি ছবির ব্যাপক সফলতা দেখে নির্মাতারা ২০০৮ সালে ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য কিংডম অব দ্য ক্রিস্টাল স্কাল’ নির্মাণ করেন। কিন্তু সিনেমাটি দর্শক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে ব্যর্থ হয়।
রকি ৫
এই ছবিটির কাহিনী লিখেছেন ছবির প্রধান অভিনেতা সিল্ভেস্টার স্ট্যালন। ১৯৮৫ সাল থেকে ‘রকি’ সিরিজের যাত্রা শুরু। পরপর চার পর্ব বক্স অফিসে তুমুল ব্যবসা করায় ধারণা করা হয়েছিল পঞ্চম পর্বটিও কেড়ে নেবে দর্শক হৃদয়। কিন্তু ১৯৯০ সালে ছবিটি মুক্তির পর মুখ থুবড়ে পরে ‘রকি ৫’। জন এভিল্ডসেন পরিচালনা করেছিলেন ছবিটি। ছবিটির পটভূমি ছিল স্পোর্টস ড্রামা, অর্থাৎ খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘রকি’। একজন বক্সিং তারকার জীবন কাহিনী দেখানো হয়েছে ছবিতে।
দ্য হ্যাংওভার ৩
২০১৩ সালে মুক্তি পায় দ্য হ্যাংওভার ছবির তৃতীয় পর্বটি। ব্র্যাডলি কুপার অভিনীত ছবিটি তেমন সাফল্য পায়নি। ছবিটির পরিচালক টড ফিলিপস। কমেডি ঘরানার থ্রিলারধর্মী ছবিটিতে গ্যাংস্টার এবং অপহরণের গল্প দেখানো হয়েছে।
এই সিরিজের প্রথব দুটি পর্ব ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু ‘দ্য হ্যাংওভার ৩’ ছবিটিকে ভালভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। আর তাই দর্শকও ছবিটিকে আপন করে নেয় নি।
গ্রিজ ২
‘গ্রিজ’ সিরিজের এই দ্বিতীয় পর্বটি মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। রোমান্টিক মিউজিক্যাল পটভূমির ছবি ‘গ্রিজ ২’। ১৯৬০ সালের সময়কে দেখানো হয়েছিল ছবিটিতে। স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক এবং এই সময়ের জটিলতা নিয়ে তৈরি হয় ছবিটি। প্যাট্রিসিয়া বির্চ পরিচালিত এই সিক্যুয়েল ছবিটিও চমক দেখাতে পারেনি বক্স অফিসে।
অ্যানাদার ফোরটি এইট আওয়ারস
এই ছবিটির আগে নির্মিত হয়েছিল ‘ফোরটি এইট আওয়ারস’ নামের ছবিটি। এই ছবির সিক্যুয়েল হিসেবে নির্মিত হয় ‘অ্যানাদার ফোরটি এইট আওয়ারস’। প্রথম ছবিটি ১৯৮২ সালে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ওয়াল্টার হিল পরিচালনা করেন ‘অ্যানাদার ফোরটি এইট আওয়ারস’। ১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি, যেমন সাফল্য পেয়েছিল প্রথম ছবিটি। ছবিটির থিম ছিল অপরাধভিত্তিক অ্যাকশন কমেডি।
স্ট্যায়িং অ্যালাইভ
১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘স্ট্যায়িং অ্যালাইভ’ ছবিটি। নিক কোনের কাহিনী নিয়ে ছবিটি পরিচালনা করেন অভিনেতা সিল্ভেস্টার স্ট্যালন। ১৯৭৭ সালের ‘স্যাটারডে নাইট ফিভার’ ছবির সিক্যুয়েল এই ছবিটি। প্রথম ছবিটির মত ‘স্ট্যায়িং অ্যালাইভ’ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি দর্শকমহলে। এমনকি বক্স অফিসেও মুখ থুবড়ে পরেছিল ছবিটি।
এক্সোরসিস্ট ২: দ্য হেরেটিক
আমেরিকান অতিপ্রাকৃত ভৌতিক ঘরানার ছবি ‘এক্সোরসিস্ট ২: দ্য হেরেটিক’। উইলিয়াম গুডহার্টের চিত্রনাট্যে ছবিটি পরিচালনা করেন জন বোরম্যান। ১৯৭৩ সালে এক্সোরসিস্ট সিরিজের প্রথম ছবিটি নির্মিত হয়। নতুন এবং ভিন্ন স্বাদের গল্পের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় ছবিটি। তারই জের ধরে বানানো হয় ‘এক্সোরসিস্ট ২’। ১২ বছরের বাচ্চা একটি মেয়েকে একটি খারাপ আত্মা বশ করে রাখে। চার্চের একজন পাদ্রী তাকে আত্মা থেকে মুক্তি দিতে যে আপ্রাণ চেষ্টা করে, এমন গল্প দেখানো হয়েছিল ছবিটিতে। কিন্তু এই কাহিনীর ছবিটিকে গ্রহণ করেনি দর্শক।
সুপারম্যান ৪: দ্য কোয়েস্ট ফর পিস
১৯৭৮ সাল থেকে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করে ‘সুপারম্যান’ সিরিজ। ডিসি কমিকস থেকে অনুপ্রানিত হয়ে, এবং চরিত্রটির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ থেকে নির্মাণ শুরু হয় সিরিজটির। সেই জনপ্রিয়তা থেকে একে একে তৈরি হয় সুপারম্যানের অনেকগুলো সিনেয়া। এই সিরিজের চতুর্থ পর্ব ‘সুপারম্যান ৪: দ্য কোয়েস্ট ফর পিস’ মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে। সিডনি জে ফিউরি পরিচালিত ছবিটিকে গ্রহণ করেনি দর্শক। হলিউডের সেরা বাজে সিক্যুয়েল হিসেবে এই তালিকায় রয়েছে ‘সুপারম্যান ৪: দ্য কোয়েস্ট ফর পিস’।
স্পিড ২: ক্রুজ কন্ট্রোল
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় ‘স্পিড’ সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমাটি। ১৯৯৪ সালে সিরিজের প্রথম ছবি মুক্তি পায়। ব্যাপক সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা থেকে উৎসাহী হয়ে নির্মাতা পরের পর্ব বানাতে আগ্রহী হন। সমুদ্রে জাহাজ অপহরণের কাহিনী দেখানো হয়েছিল ছবিটিতে। ‘স্পিড ২: ক্রুজ কন্ট্রোল’ ছবিটিতে কলাকুশলীদের অভিনয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি দর্শক। আর তাই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি।
ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন
ডিসি কমিকসের আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র ব্যাটম্যান। ১৯৮৯ সাল থেকে এই চরিত্র নিয়ে সিনেমা বানানো শুরু হয়। প্রত্যেকটি সিক্যুয়েল কেড়ে নেয় দর্শক হৃদয়। কিন্তু ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন ’ ছবিটিকে সর্বকালের সেরা বাজে সিনেমা হিসেবে গন্য করা হয়। এই ছবিটির অপ্রত্যাশিত ব্যবসায়িক ব্যর্থতার কারণে অনেকদিন সিরিজের নতুন পর্ব নির্মাণ করা হয়নি। পরে ২০০৫ সালে পুনরায় পর্দায় আনা হয় এই সিরিজের নতুন পর্ব ‘ব্যাটম্যান বিগেনস’। এই ছবিটি সে সময় প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। এবং ব্যবসায়িক দিক থেকেও সাফল্য পায় ব্যাটম্যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন