সময় বিপর্যয় কাটেনি ট্রেনে, মানুষ যাচ্ছে গাদাগাদি করে
ঈদুল আযহার আগের দিন মহাসড়কে যানজট ও ভোগান্তি কমে আসলেও উল্টো চিত্র রেলে। বাড়ি যাওয়ার চেষ্টায় সকাল থেকে স্টেশনে ভিড় করেছে হাজারো যাত্রী। ট্রেনের ছাদে ও বগির ভেতরে গাদাগাদি করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে তারা।
রবিবার বিমানবন্দর স্টেশনে একটি ট্রেন বিকল হওয়ার পর শুরু হওয়া সময় বিপর্যয় এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ট্রেন। উল্টো বিলম্ব আরও বেড়েছে। বেশিরভাগ ট্রেনই সময় মত ছাড়তে পারেনি কমলাপুর থেকে।
শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সঙ্গে রবিবার থেকে চারদিনের ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় এবার বাড়ি যাওয়ার স্রোত শুরু হয় মূলত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। এরপর প্রতিটি ট্রেনই ছেড়েছে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে। তবে রবিবারের মধ্যে বাসে ভিড় কমে আসলেও ট্রেনের এই ভিড় কমেনি এতটুকু।
ঈদের আগের দিন ট্রেনে এত ভিড় থাকার অন্যতম কারণ পোশাক শ্রমিকরা। তাদের একটি বড় অংশই বেতন-বোনাস হাতে পেয়েছেন আগের দিন। তাই দেরি করেই যেতে হচ্ছে তাদের।
ঈদের আগের দিন সময় বিপর্যয়
সোমবার রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা ১০মিনিট পর। সকাল ছয়টায় যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও ট্রেনটি ছেড়েছে ১০টা ১০এ। খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন ঘণ্টা ১০মিনিট এবং দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ৫৫মিনিট বিলম্বে ছেড়েছে কমলাপুর থেকে।
রংপুর রুটের রংপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর ছাড়ার কথা ছিল সকাল নয়টায়। পরে স্টেশন থেকে জানানো হয় বেলা সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। কিন্তু সেই সময়ও ছাড়তে পারেনি এটি। বেলা একটার দিকে কেবল কমলাপুর পৌঁছে রংপুর এক্সপ্রেস।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে রবিবার বিমানবন্দর স্টেশনে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস দীর্ঘক্ষণ বিকল হয়ে থাকে। এ কারণে কমলাপুর থেকে প্রতিটি ট্রেনের যাত্রা বন্ধ থাকে তিন ঘণ্টা। এর প্রভাবে ট্রেনের সময়সূচি ভেঙে পড়ে পুরোপুরি।
সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে সকাল থেকে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের অপেক্ষায় প্লাটফর্মে কয়েক হাজার যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আর মুহূর্তেই বাড়ছে এই ভিড়।
বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেলো আমিনা, খালেদা, জেসমিন ও ফরিদাকে। সবাই যাবেন রংপুর। তারা সকাল নয়টা থেকেই স্টেশনে অবস্থান করছেন।
তারা সবাই একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গতকালই তাদের বেতন বোনাস হয়েছে, বাস বা ট্রেনের আগাম টিকিট কাটা ছিল না কারও। ঢাকাটাইমসকে খালেদা বলেন, ‘আমরা আগে টিকিট নিতে পারি নাই। কিন্তু ঈদে বাড়ি তো যাওয়াই লাগবে। সেই সকাল থেকে অপেক্ষা করছি, কিন্তু ট্রেনের কোন খবরই নেই।’
জেসমিন বলেন, ‘বাসে জ্যামের কথা শুনে সাহস করি নাই, ট্রেনে যাবো বলে স্টেশনে আসলাম। কিন্তু যে ভিড়. তাতে ট্রেনে উঠতে পারব কি না কে জানে।’
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবতী বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ট্রেনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। তার ওপর গতকাল একটি ট্রেন বিকল হওয়ায় অন্য ট্রেনগুলি সঠিক সময়ে ছাড়তে পারে নাই। এ কারণে ট্রেনগুলো ছাড়তে দেরি হচ্ছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন