‘সরকারকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাড়া দিচ্ছে ফেসবুক’
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের গঠনমূলক ব্যবহারের পাশাপাশি ইদানিংকালে মানহানিকর প্রচারণা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, এসব সমস্যা দূরীকরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত ফেসবুক কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক কতৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দিচ্ছে সরকারকে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগমের (মহিলা আসন_৩৩) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তারানা হালিম বলেন, ‘ফেসবুকের গঠনমূলক ব্যবহারের পাশাপাশি এর ধ্বংসাত্মক বিশেষকরে সমাজে অস্থিতিশীলতা, বৈষম্যমুলক প্রচারণা ও নানাবিধ মানহানিকর প্রচারণা ইনাদিংকালে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সমস্যা দূরীকরণের জন্য প্রতিনিয়ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে থাকে। সার্বক্ষনিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মুল দায়িত্ব পালন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের অনুরোধে ও প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী বিগত দেড় বছরে ফেসবুক কতৃপক্ষের সাথে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে সন্ত্রাস, ধর্মীয় উস্কানীসহ অন্যান্য আপত্তিকর বিষয়ে সর্বমোট ১৯৬ টি একাউন্ট, পেইজ/লিঙ্ক বন্ধ করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়। এরমধ্যে তারা মোট ৮৭টি একাউন্ট, পেইজ/লিঙ্ক বন্ধ করেছে এবং বর্তমানে তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দিচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এনটিএমসি এবং গোয়েন্দা সংস্থা হতে জঙ্গিবাদ ছড়ানো বিষয়ে ফেসবুক এবং অনলাইন মিডিয়ার সর্বমোট ৩১টি একাউন্ট, পেইজ/লিঙ্ক এবং বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল, ব্লগ বন্ধ করার জন্য ফেসবুক কতৃপক্ষ এবং সকল আইআইজিকে অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যে মোট ২৬টি একাউন্ট, পেইজ/লিঙ্ক এবং নিউজ পোর্টাল, ব্লগ বন্ধ হয়েছে।’
তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি নিশ্চিতকল্পে এবং এ ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন নামক সিস্টেম ক্রয় পক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াসহ অনলাইন মিডিয়াগুলো মানুষের সক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বাংলাদেশেও কখনও কখনও এর অপব্যবহার লক্ষণীয়। এ সমস্থ মিডিয়ার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে মিডিয়াগুলোর নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে। যেমন ফেসবুক এবং গুগলের তাদের নিজস্ব নীতিমালা দ্বারাই পরিচালিত। এছাড়াও দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০১৩ এবং তথ্য অধিকার প্রবিধামালা-২০১০ রয়েছে। এছাড়া জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৫ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৬ প্রণয়নের কাজ চলছে।’
সকল সাইবার ক্যাফে সিসিটিভি স্থাপন এবং রেকর্ড সংরক্ষণসহ এ সংক্রান্ত অনুশাসনসমুহ কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তা বিগত ১ বছর ধরে কার্যকর হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন
নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন













