সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় : নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে এ সরকার ভয় পায়। তাঁকে রাজনীতি করতে দিতে চায় না। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কেউ বিশ্বাস করে না এ মামলায় প্রমাণ করা যাবে যে তিনি দেশদ্রোহী। তারপরেও সরকার এ অপচেষ্টা চালাবে।’
আজ শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আছে যারা, তাদের পরিচয় আজ দেশে-বিদেশে একটাই। সেটা হলো এ সরকার মানুষের অধিকার হরণকারী গণতন্ত্র ধ্বংসকারী এবং স্থানীয়ভাবে একটা মামলাবাজ এবং হামলাবাজ সরকার। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হয়েছে।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘যখন কাউকে বলা হবে, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী বা দেশদ্রোহী এর চেয়ে বড় গালি আর হতে পারে না। আর সে গালিটা কাকে দেওয়া হলো? যিনি সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে লড়াই করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘যে কারণে তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে, এ কারণে তাঁকে দেশদ্রোহী বলার আগে এ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, যুদ্ধকালীন সময়ে জনপ্রিয় রেডিও ব্যক্তিত্ব এম আর আখতার মুকুল এবং এ দেশের বহু নামকরা লেখক, বুদ্ধিজীবীদের একই মামলায় অভিযুক্ত করা যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘রেকর্ড বলছে, দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে কমিটি করে দিয়েছিলেন শহীদদের সংখ্যা নিরূপণের জন্য। প্রথম যখন মাত্র ২৮, ২৯ হাজার নাম আসল, তখন এটা বিশ্বাসযোগ্য না, কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি নির্দেশ দিলেন যে বলো, এ তালিকায় যার নাম পাওয়া যাবে, তদন্তে সঠিক প্রমাণিত হলে তাদেরকে টাকা দেওয়া হবে। দুই হাজার করে টাকাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও এক লাখ না দুই লাখ কত হাজার নাম পাওয়া গিয়েছিল। ড. সাত্তারের নেতৃত্বে সে কমিটি হয়েছিল, তা ছিল ১২ জনের। তাহলে এদের সবাইকে দেশদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত করা লাগে।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হোক, এটা কি তাঁদের প্রাপ্য না?’ তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হয়েছে। ভাতাও পাচ্ছি। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছে তারা কোথায়? তাদের পরিবারকে জানানো, তাদের সম্মান জানানো কি আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন