সরকার নাকি বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে
বাংলাদেশসহ কেশ কিছু দেশ যখন জনসংখ্যার চাপে বেসামাল সেখানে কানাডার শহরে নাকি জনসংখ্যাই বাড়ছে না। আর তাই জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য দেশটিতে অভিনব কৌশল নেয়া হয়েছে। শহরের জনসংখ্যা বাড়াতে বিনামূল্যে বাস্তুজমি দিচ্ছে কানাডা! এতেও যদি কেউ সেখানে বাস করতে আগ্রহী হন। শহরে বসতি গড়তে ইচ্ছুকদের বিনামূল্যে জমি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় কানাডার সেইন্ট লুইস ডি ব্ল্যান্ডফোর্ড নগর কর্তৃপক্ষ।
ফরাসি অধ্যুষিত ক্যেবেক সিটি থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘণ্টা খানেকের মতো পথ ক্ষুদে শহর সেইন্ট লুইস ডি ব্ল্যান্ডফোর্ড। সেখানে বর্তমান বাস করেন মাত্র ৯০০ জন মানুষ। শহরটিতে জনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৩ সালে কয়েকশ’ একর জমি কিনে ৪০টি প্লটে ভাগ করেছে প্রশাসন। বাড়ি বানিয়ে বাস করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সেই জমি বিনামূল্যে বিতরণ করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার।
শর্ত অনুসারে, প্রথমে ১০০০ ডলারের বিনিময়ে জমি বায়না করতে হবে। এরপর এক বছরের মধ্যে ১,২৫,০০০ ডলার খরচ করে বাড়ি বানিয়ে ফেলতে হবে। নির্মাণ শেষ হলে জমির দাম ফেরত দেবে পৌরসভা। মেয়র জাইলস মার্শন্ড জানিয়েছেন, আমাদের মতো ছোট শহরের প্রতি নবীন প্রজন্ম উত্সাহ হারিয়ে ফেলছে। দলে দলে মানুষ এখান থেকে বড় শহরগুলোতে বসবাস শুরু করছেন। তাই বাড়ি তৈরিতে তাদের উত্সাহিত করতে নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে সেইন্ট লুইস ডি ব্ল্যান্ডফোর্ড একা নয়। কয়েক বছর আগে এমনই জনমোহিনী প্রকল্প তৈরি করে কানাডার আরেক ছোট শহর রেস্টন। সেই সময় ইচ্ছুক বাসিন্দাদের মাত্র ১০ ডলারের বিনিময়ে জমি বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, ২৪টি জমির প্লটের মধ্যে ১৯টি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর এ উদ্যোগ পড়শি পাইপস্টোন ও সিনক্লেয়ার শহরেও প্রয়োগ করে নগর উন্নয়ন দপ্তর। গত ২০ বছরে রেস্টন শহরের ওই সমস্ত জমিতে মোট ২০টি নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছে।
পাইপস্টোন রুরাল মিউনিসিপ্যালিটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপক তানিস চামার্সের মতে, ‘ছোট শহরদের মহানগরীগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে নাগরিকদের বাড়তি সুবিধা দিতেই হবে।’ বাসিন্দাদের ন্যূনতম দামে জমি দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছে সাস্কাচুয়ান এলাকার বেশ কয়েকটি ছোট শহর। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি জমি বিতরণের টোপ দিয়েছে কিংস পয়েন্ট এন এল নগর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার এমন বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ১০ বছর পর সেইন্ট লুইস ডি ব্ল্যান্ডফোর্ড শহরে ফিরে এসেছেন ক্রিসচিয়ান মার্টিন। প্রায় বিনামূল্যে ৫১০ বর্গ মিটার জমি পেয়েছেন তিনি। বিশাল বাড়ি তৈরির পর জমিতে একটি ঝিলও খুঁড়ে ফেলেছেন মার্টিন। তিনি জানিয়েছেন, বড় শহরে শুধু জমি কিনতে গেলেই গোটা সম্পত্তির দাম দিতে হত। প্রকল্পের এহেন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মেয়র জাইলস মার্শন্ড।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন