সরকার ২ লাখ ৮০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে আবাসন দিবে: প্রধানমন্ত্রী
আগামী তিন বছরে দেশের ২ লাখ ৮০ হাজার দরিদ্র পরিবারের আবাসন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন দরিদ্র জনগণের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ক এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে এই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সময় দেশে আর কেউ যেন গৃহহীন না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই সরকার সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আশ্রায়ন প্রকল্প-২, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, ঘরে ফেরা কর্মসূচি ও গৃহায়ন তহবিল প্রকল্প।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণের জন্য একটি জায়গায় আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কামরাঙ্গীর চর এরাকায় দরিদ্রদের জন্য ফ্লাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না আর কেউ মানবেতরভাবে ফুটপাত, রাস্তার ধারের বস্তিতে কিংবা রেল লাইনের পাশে বসবাস করুক।’
তিনি আরও বলেন, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের মূল্য লক্ষ্য ধাপে ধাপে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এ লক্ষ্যে আমরা দরিদ্র মানুষগুলোকে ক্ষুদ্র ঋণের গন্ডিতে ফেলে রেখে দারিদ্রতাকে লালন-পালন না করে, বরং আয় বর্ধক কর্মকান্ড, সমবায় ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা চাই মানুষ ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র থেকে উঠে আসুক।
বাংলাদেশকে নদী ভাঙনের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অনেক মানুষ অমানবিক জীবন যাপন করছে, দুর্ভোগে আছেন।
এসব মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করতে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নিদের্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে একদিকে যেমন তাদের দ্বারা অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের কর্ম দক্ষতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে
তিনি সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে দরিদ্র জনগণের জীবন মান উন্নয়নের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কোন প্রকার ভূমি দস্যু বা জোতদাররা যেন আশ্রায়ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় রেকর্ড সংরক্ষণের জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন ।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের ’৯৬ পরবর্তী মেয়াদে আশ্রায়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে পরবর্তীতে জমিগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ায় উদাহারণ দেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী আশ্রায়ন প্রকল্পের বাড়িগুলো ব্যারাকের (সেনা সদস্যদের ব্যারাকের মত গুচ্ছাকারে) মত করে তৈরীর পাশাপাশি বসবাসকারীদের বিভিন্ন সমবায় ভিত্তিক প্রকল্পে সংযুক্ত করে স্থায়ী আয়ের উৎস করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ভাষাণটেক এলাকায় নির্মাণাধীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্লট প্রকল্পে সত্যিকারের হতদরিদ্রদেরই আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয়ে নজর রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
বৈঠকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিচালকগণ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।সে সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, তৌফিক-ই-এলাহি, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ-উল-আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম প্রমুখ। খবর-বাসস।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন