অফিসে তাঁর দিকে আড়চোখে তাকান? ইচ্ছে করে দৌড়ে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে তাঁকে বলতে, ‘‘আই লাভ ইউ। উইল ইউ ম্যারি মি?’’ কিন্তু পারছেন না। কারণ উল্টোদিক থেকে সাড়াশব্দ নেই? রইল সমাধান।

এই সাতটি পন্থা মেনে দেখুন। কাজ হওয়ার সম্ভাবনা একশো শতাংশ—

১. অফিসের সবথেকে দক্ষ কর্মী হয়ে উঠুন। এটি প্রথম শর্ত। মনে রাখবেন, অফিস হল প্রফেশনাল জায়গা। আপনি আগে তাঁর সহকর্মী। তাই পারফর্ম্যান্সটাই কিন্তু প্রথম কথা বলবে। বস্-এর ধাতানি খেলে প্রেস্টিজে গ্যামাক্সিন অবধারিত।

২. সহকর্মীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। নিজের অ্যাসাইনমেন্টের বাইরেও অন্যদের সাহায্য করুন যথাসম্ভব। তা হলে উনি বুঝবেন, আপনি সহকর্মীর বাইরে গিয়ে একজন প্রকৃত বন্ধু হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তবে শুধুমাত্র সেই বিশেষ ব্যক্তিটিকে সাহায্য করবেন না। তা হলে কিন্তু পুরোটা ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

৩. অফিসে ব্যস্ত থাকুন। বিশেষ করে সেই বিশেষ ব্যক্তিটির সামনে চরম ব্যস্ত থাকুন। ভুলেও তাঁর দিকে তাকাবেন না। নিজের মতো ব্যস্ত থাকুন।

৪. এইবারে প্রয়োগ করুন ব্রহ্মাস্ত্র। সেই চরম ব্যস্ততার মধ্যেই আচমকা উধাও হয়ে যান বেশ কিছুক্ষণের জন্য। একটা শূন্যতা তৈরি হতে দিন। আপনাকে খুঁজতে দিন চারপাশে। চট করে দেখা দেবেন না।

৫. হ্যাংলার মতো একসঙ্গে লাঞ্চ করতে বা চা-খেতে যাবেন না। অপেক্ষা করুন। সবুরে মেওয়া ফলে। আপনার ব্যস্ততার মধ্যে তাঁকেই বলতে দিন, ‘‘চলুন, একটু চা খেয়ে আসবেন।’’

৬. খেয়াল রাখুন, কতটা যাবেন। ‘‘একবার ডাকিলেই যাইব’’-গোছের মানসিকতা নিয়ে হ্যা-হ্যা করে ছুটবেন না। পারলে প্রথমবার বলে দিন, ‘‘একটু পরে’’ বা ‘‘এখন নয়’’। সেটাও কিঞ্চিৎ গম্ভীর হয়ে বা মৃদু হেসে।

৭. চা-খাওয়া দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে এগোতে থাকুন। একদিন লাঞ্চ-এ যাওয়ার প্রস্তাব দিতে পারেন। এর পরে স্রেফ ছেড়ে দিন। প্রেম তার নিজের খাতে আপনাদের বইয়ে নিয়ে যাবে।

বিঃদ্রঃ এ সব কিছু করার আগে অবশ্যই জেনে নিন দ্বিতীয়জনের রিলেশনশিপ স্টেটাস। আগেভাগে তিনি ‘বুক্‌ড’ হয়ে থাকলে আপনাকে সীমাহীন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে। তার উপরে মন ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রণা তো আছেই। আর এটা অফিস। মন ভেঙে চুরচুর হওয়ার শব্দ কিন্তু সকলেই পাবেন। হয়তো উপভোগও করবেন। অতএব, সাধু সাবধান!