চাকরিজীবীদের দিনের বেশির ভাগ সময়ই কেটে যায় অফিসে। বলতে গেলে পরিবারের মানুষদের থেকে সহকর্মীদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটে। এর ফলে অনেক সময় কেউ কেউ সহকর্মীদের প্রেমেও পড়ে যান। অবিবাহিতরা তো প্রেমে পড়েই, বিবাহিতদের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা বিরল নয়।

অবিবাহিতরা প্রেমে পড়ে সহকর্মীর সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব বা গুণাবলি দেখে। আর বেশির ভাগ বিবাহিতরাই তাঁদের পারিবারিক ঝামেলার কারণে অফিসে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যদি আপনি অফিসে কারো প্রেমে পড়ে থাকেন বা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাহলে কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলবেন। না হলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে কী করবেন, কী করবেন না তার কিছু বুদ্ধি দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন :

• যদি বিবাহিত সহকর্মীর প্রেমে পড়ে থাকেন তাহলে আজই সাবধান হয়ে যান। কারণ এ ধরনের সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ থাকে না। বরং একটা সময় অফিস ও সংসার দুই জায়গাতেই ঝামেলায় জড়িয়ে যাবেন। এ বিষয়ে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ফিলিপ হডসন বলেন, ‘অফিসে কাউকে ভালো লাগা অপরাধ না, কিন্তু যেখানে পরিবার জড়িত, অন্য সম্পর্ক জড়িত সেখানে অবশ্যই আপনার এর পরিণতি সম্বন্ধে আগে থেকেই চিন্তা করা উচিত।’
• আপনাদের মধ্যে কিছু একটা চলছে এটা অফিসের মানুষ বুঝতে পারবে না- এমনটা ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তাই অন্য সহকর্মীদের সামনে এগুলো প্রকাশ না করাই ভালো। না হলে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সবাই খারাপ ধারণা করবে।
• সে কি শুধু আপনাকেই দেখে হাসছে? না অফিসের সব সহকর্মীদের সঙ্গেই সে এমনভাবে হেসে কথা বলে? ভালো করে খেয়াল করুন। অযথাই কোনো সহকর্মীর হাসিমাখা মুখ দেখে ভাববেন না যে সে আপনার প্রেমে পড়েছে।
• অফিসে যদি আপনি সহকর্মীদের গসিপের বিষয় হতে না চান, তাহলে নিজের ভালো লাগার কথা কাছের দু-একজন সহকর্মীকে বলে রাখেন। না হলে পরবর্তী সময়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হলে আপনার পক্ষের কাউকেই অফিসে খুঁজে পাবেন না।
• অফিসে প্রেমিককে দেখানোর জন্য অতিরিক্ত সেজে না আসাটাই ভালো। আর এমন পরিপাটি হয়ে আসার পর যদি বারবার তার আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তাহলে অন্য সহকর্মী ও বস বিষয়টা ভালোভাবে নেবেন না। তাই আচরণ সংযত করুন।
• অনেকে অফিসে বসে এক রুম থেকে অন্য রুমে থাকা সহকর্মী বা সঙ্গীর সঙ্গে ফেসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাটিং করে। সাবধান এই অভ্যাস আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। কারণ আপনার আশপাশের সহকর্মীরা সহজেই বিষয়টি দেখতে পাবেন। আর অফিসের কম্পিউটারে কিন্তু সব কিছুরই তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
• অফিসে প্রেমের সম্পর্ক বেশিদিন ঝুলিয়ে না রাখাই ভালো। যত তাড়াতাড়ি পারেন বিয়ে করে ফেলুন। অযথা নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে লাভ কি বলুন?