সাংবাদিক নির্যাতনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্কতা খালেদার
সাংবাদিক নির্যাতন, মত দলন ও ভিন্নমত স্তব্ধ করার অপচেষ্টার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটকে রাখা এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে তিনি এ সতর্কতা জানান।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীনেরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ‘আমার দেশ’সহ অনেক সংবাদপত্রের প্রকাশনা এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। হামলা-মামলাসহ নানামুখী ভয়ভীতি দেখিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে শাসক মহল তাদের অপকর্ম ও গণবিচ্ছিন্নতা আড়াল করে রাখতে চায়।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমি সাংবাদিক নির্যাতন, মত দলন ও ভিন্নমত স্তব্ধ করার অপচেষ্টার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি।’ খালেদা জিয়া বলেন, মাহমুদুর রহমান তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মিথ্যা মামলায় আটক থাকার পর আপিল বিভাগসহ বিভিন্ন আদালত থেকে প্রায় ৭০টি মামলার সব কটিতে জামিন পান। সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন মঞ্জুরের পর তাঁকে আরেকটি মামলায় জড়িয়ে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর পদক্ষেপ ধৃষ্টতামূলক ও আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করি।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া সব অপপ্রয়াস বন্ধ করে মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদসহ আটক সব সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার এবং সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
মুক্তির দাবিতে সমাবেশ: এদিকে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতারা।
সমাবেশের পর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, কয়েক দিন আগে সমাবেশ করে সাংবাদিকেরা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতি তাঁর জামিন বহাল রেখে আইনের শাসন সমুন্নত রেখেছিলেন। কিন্তু সরকার মাহমুদুর রহমানের ওপর সীমাহীন জুলুম করছে।
বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, মাহমুদুর রহমান সব মামলায় জামিন পেয়ে যখন মুক্তি পেতে যাচ্ছিলেন, তখন বানোয়াট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সরকার মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, আইনের শাসনকে অপমানিত করেছে।
বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে’র বাসস ইউনিট প্রধান আবুল কালাম মানিক, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন