সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ জোহা ‘অপহৃত’
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়া সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ তানভির হাসান জোহাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরিববারের সদস্যরা বলছেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
জোহার স্বজনরা জানান, বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে রাজধানীর ভাসানটেকে জোহাকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
জোহার স্বজনরা জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে স্ত্রী ডা. কামরুন্নাহারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জোহা; এরপর অফিস থেকে বেরিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে কলাবাগানের লেক সার্কাসের বাসার দিকে রওনা হন।
এ সময় জোহার সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু ইয়ামির। তার বরাত দিয়ে স্বজনরা জানান, অটোরিকশাটি ঢাকা সেনানিবাসের কচুক্ষেতে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই কার্যালয়ের কাছে পৌঁছালে দুই-তিনটি গাড়ি এসে গতিরোধ করে। এরপর অটোরিকশা থেকে জোহাকে নামিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
জোহার চাচা বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক উপমহাপরিচালক মাহবুবুল আলম জানান, খবর পাওয়ার পরপরই তারা কলাবাগান থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানান। এ সময় পুলিশ জানায়, অপহরণের এলাকা কাফরুল থানা এলাকায়। সেখানে গেলে কাফরুল থানা পুলিশ তাদের ক্যান্টনমেন্ট থানায় পাঠায়। সেখান থেকে পুলিশ আবার তাদের পাঠায় ভাসানটেক থানায়। তবে ভাসানটেক থানা পুলিশও দাবি করে এই ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় পড়ে না।
কাফরুল থানার ডিউডি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাহবুবুল আলম নামের এক ব্যক্তি এসে জানান তার আত্মীয় জোহা গতকাল রাতে নিখোঁজ হয়েছেন।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, “মাহবুবুল আলমের অভিযোগ পেয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ঘটনাস্থল ভাসানটেক থানার মধ্যে পড়েছে। পরে তাকে ভাসানটেক থানায় পাঠিয়ে দেই।”
পরে ভাসানটেক থানায় যোগাযোগ করলে তারা জানায়, তাদের এলাকায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের ডেইলি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির খবর প্রকাশিত হলে তোলপাড় পড়ে যায়।
র্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্ত শুরু করলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তার মতে, ব্যাংকের ভেতরের চ্যানেলের লোক ছাড়া শুধু বাইরে থেকে কারও পক্ষে এ বিশাল অর্থ চুরি করা সম্ভব নয়।
তবে চুরির ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত ভারতীয নাগরিক রাকেশ আস্তানা মনে করেন, এই ঘটনা বাইরে থেকে হয়েছে।
সোমবার সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তানভীর হাসান জোহা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কেউ নয়’। তানভীর হাসান জোহা নামের ওই ব্যক্তির কোনো কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের দায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের নেই।
তবে জানা গেছে, জোহা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ’ নামক প্রকল্পের পরিচালক (অপারেশন) ছিলেন। প্রকল্পটি দুই মাস ধরে বন্ধ আছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন