সাকিবকে চমকে দিলেন ভাষ্যকার মেহরাব

মেহরাব হোসেন জুনিয়রকে দেখে চমকেই উঠলেন সাকিব আল হাসান! মাথায় লাল হ্যাট, সাদা শার্ট-কালো প্যান্টের সঙ্গে কালো টাই—ঠিক কেতাদুরস্ত পোশাকের কারণে নয়, সাকিব চমকে উঠেছেন মেহরাবের নতুন ভূমিকা দেখে! ‘ছোট’ মেহরাব আজ মাঠে এসেছেন ধারাভাষ্য দিতে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে না যাওয়া এই ক্রিকেটারের নবরূপ দেখে খানিকটা রসিকতা করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। অবশ্য পরে দুজনের অভিনন্দনেই সিক্ত হয়েছেন।
মেহরাবের স্মৃতিতে নিশ্চয়ই ভেসে আসবে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপের কথা। ওই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছিলেন এক ঝাঁক তরুণ প্রতিভা। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সে দলে ছিলেন সাকিব, তামিম ইকবাল, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শামসুর রহমান, মেহরাবের মতো বেশ কজন সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়।
টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মেহরাব ছিলেন বাংলাদেশি যুবাদের মধ্যে সবার ওপরে। ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ১৯৬ রান, বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ওই দলের সাকিব-মুশফিক-তামিমই তো পরে বাংলাদেশ ক্রিকেটেই নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। সম্ভাবনা তো তাঁরও ছিল যথেষ্টই।
বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৭ টেস্ট, ১৮ ওয়ানডে,২ টি-টোয়েন্টি। কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যেভাবে ঝলক দেখিয়েছিলেন, জাতীয় দলে সেটা কেন যেন হলো না। ২০০৯-এর আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্ট খেলে সেই যে বাদ পড়লেন আর ফিরতে পারলেন না দলে। অবশ্য এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই তাঁর, ‘আক্ষেপ নেই। আর আমি তো ক্রিকেট ছাড়িনি। এখনো খেলছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এখন ক্রিকেট ক্যারিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ। এ মৌসুমে জাতীয় লিগে ঢাকা মহানগরের হয়ে পেয়েছেন ১ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটি। বাংলাদেশ দলের জার্সিতে আবার কবে মাঠে নামবেন অনিশ্চিত। তবে আপাতত বাংলাদেশের জয়গান গাওয়ার সুযোগ তো হলো! এক সময়ের সতীর্থরা সাকিব-তামিমরা যখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২ গজে লড়ছেন ব্যাট হাতে, মেহরাব ধারাভাষ্য কক্ষে মাইক্রোফোন হাতে!
আতহার আলী খানদের পাশে বসে সতীর্থদের খেলার বিশ্লেষণ—প্রথম ধারাভাষ্যের অভিজ্ঞতা দারুণই হলো মেহরাবের, ‘এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে কাছ থেকে চিনি বলে বিশ্লেষণ করতে সুবিধা হচ্ছে। আর ধারাভাষ্য কক্ষের পরিবেশ সম্পর্কেও নতুন ধারণা হলো। সব মিলিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা!’
তবে এখনই ধারাভাষ্যকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান না। মেহরাবের এখনো স্বপ্ন বাংলাদেশ দলে ফেরা। ধারাভাষ্য কক্ষে বসেই জানালেন লক্ষ্যের কথা, ‘স্বপ্নটা এখনো দেখছি। আপাতত লক্ষ্য সামনের বিপিএলে পারফর্ম করা। তবে যখন ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করব, তখন এ পেশাতে আসব।’ বোঝাই যাচ্ছে মাইক্রোফোনটা তাঁকে ভালোই টানছে!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন