সাকিবকে মাঠে ফেরাতে আরেকবার চেষ্টা করবে বিসিবি
আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের বাইরে হওয়ায় সাকিবকে ফেরানোর বিষয়ে নতুন করে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত এই হাইব্রিড মডেলের আসরে সাকিবের নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝামেলা নেই বলে মনে করছেন বিসিবি প্রধান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসর শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরের দুটি ম্যাচ খেলবে নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আসন্ন ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিবকে পাওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, “একটা ছেলে ১৭ বছর ধরে খেলছে, এত পারফর্ম করেছে। আমি চেয়েছিলাম তার বিদায়টা ভালো হোক। সেটা হয়নি। গত কয়েকটি সিরিজ সে খেলেনি, সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ছিল না। তার জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা কঠিন। সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিতই কথা হতো। গত কিছুদিন কথা হয়নি। সে অবশ্যই খেলতে চায়। এই বিপিএলের মধ্যেই ওকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।”
তবে সাকিবকে ফেরাতে হলে আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা লাগবে বলে জানিয়েছেন ফারুক। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। বিসিবি সভাপতি বলেন, “সাকিব এখনও অবসর নেয়নি। সাকিব যদি অবসর নিত, তাহলে বলা যেত আর নাই। ওর যে ইস্যুগুলো আছে, সে তো মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, কীভাবে ওটা কী করা যায়। আর বোর্ড বা এটা আমার সহায়তা করার ব্যাপার না। আগেও বলেছি, এখনো বলছি।”
সরকারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে ফারুক বলেন, “ওটা শুধুমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দেশনা আসে। ওর যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো যদি ঠিক করতে পারে, তাহলেই আমার মনে হয়, একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তার ফিটনেস, মানসিক অবস্থা দেখা হবে। তারপর নির্বাচক কমিটি আছে, সিদ্ধান্ত নেবে।”
গত বছরের অক্টোবরে দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টেস্ট সংস্করণ থেকে অবসরের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ওই সিরিজের জন্য সাকিবকে স্কোয়াডে রাখলেও শেষ পর্যন্ত তাকে খেলানো সম্ভব হয়নি। সরকারের নির্দেশে দেশে ফেরা আটকে দেওয়া হয় এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের।
তখন সাকিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই হয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। তবে তার ফেরার খবরে মিরপুরে কিছু মানুষের বিক্ষোভ দেখা দেয়। নিরাপত্তা শঙ্কায় সরকার সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেয়। সে সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, “অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাকিবকে খেলতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সাকিবের এই জটিলতার সূত্রপাত দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য সাকিবকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। ভারত সফরের আগে কানপুর টেস্টে সাকিব নিজেই জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচটি খেলতে চান। তবে সে ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সেন্টমার্টিনে খাবার পানি সরবরাহ করবে সরকার, বর্জ্য থেকে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের পানির পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে খাবার পানিবিস্তারিত পড়ুন
৫ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি
পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশবিস্তারিত পড়ুন
সঞ্চয়পত্র কেনায় জুলাই বিপ্লবে শহিদদের পরিবারকে যে সুবিধা দিল এনবিআর
করের বিষয়ে জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের সদস্যদের ছাড় দিয়েছে জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন