সাকিব-তামিমের তাণ্ডবে টাইগারদের রানের পাহাড়
সিরিজ শুরুর আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ যে, শততম টেস্টের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ওয়ানডে সিরিজেও বজায় থাকবে। জয়-পরাজয়ের ফয়সলা হতে এখনও আরেকটি ইনিংস বাকী; তবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের দায়িত্ব দারুণভাবেই পালন করল টাইগার ব্যাটসম্যানরা। সেঞ্চুরি হাঁকালেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে রয়েছে সাব্বির রহমান আর সাকিব আল হাসানের অর্ধশতাধিক রানের ইনিংস। দ্বিতীয় এবং চতুর্থ উইকেটে দুটি শতরানের জুটি। সব মিলিয়ে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২৪ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে সৌম্য সরকারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। সুরঙ্গা লাকমলের বলে দারুণ ক্যাচ নেন উইকেটকিপার দিনেশ চান্দিমাল। এরপর দারুণ জুটি গড়েন তামিম আর সাব্বির। দুজনই স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিংয়ে লঙ্কান বোলারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। একটা সময় ব্যাটিং দাপটে ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করা তামিমকে ছাড়িয়ে যান সাব্বির। দলের স্কোর শতরান ছাড়ানোর পর ৪৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাব্বির রহমান। এটাই তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১১৯ রানে ৫৬ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করে গুনারত্নের বলে উপুল থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ভাঙে তামিমের সঙ্গে তার ৯০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
এরপর অপরাজিত থাকা তামিম ইকবালের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সান্দাকানের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে সান্দাকানের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে যান তিনি। তামিমের নতুন সঙ্গী হন তার প্রিয়বন্ধু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। স্বভাবিরুদ্ধ ব্যাটিং করে ৭৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম ইকবাল। ব্যাটিং দেখে যে কেউ চোখ রগড়ে আবারও দেখবে; ব্যাটসম্যানটির নাম তামিম ইকবালই তো? এত ধীরে সুস্থে দেখে শুনে খেলার মানুষ তো তামিম নয়! এমনটা করলে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা কবেই ২০ ছাড়িয়ে যেত! তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানটির নাম তামিম ইকবাল! এরপর ১২৭ বলে ১২ বাউন্ডারিতে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। অবশেষে ১৪২ বলে ১৫ চার এবং ১ ছক্কায় ১২৭ রানে শেষ হয় এই অসাধারণ ইনিংস। দলের রান তখন ২৮৯।
চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে তামিমের জুটি হয় ১৪৪ রানের। এদিকে ওভার কমে আসছিল। তাই সেঞ্চুরির জন্য বলের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছিল সাকিবকে। তাই শট খেলতে গিয়ে হার মানেন তিনি। সুরঙ্গা লাকমলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সান্দাকানের হাতে ক্যাচ দেন ৭১ বলে ৪টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারিতে ৭২ রান করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর ধামাকা ব্যাটিং শুরু করেন তরুণ মোসাদ্দেক এবং অভিজ্ঞ মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে ১৩ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন। মোসাদ্দেক ৯ বলে ৩ চার এবং ১ ছক্কায় ২৪ আর মাহমুদ উল্লাহ ৭ বলে ১ ছক্কায় ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের এই ঝড়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে টাইগাররা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন