সাতকানিয়ায় গুলিতে ‘বিএনপি নেতা’ নিহত
সাতকানিয়া পৌরসভায় ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর কেন্দ্রের অদূরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মো. নুরুল আমিন (৪০) নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিএনপি তাকে ‘বিএনপি নেতা’ দাবি করলেও আওয়ামী লীগ বলছে তিনি সাধারণ ভোটার।
বুধবার ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে সকাল ১১টার দিকে সাতকানিয়া কলেজ কেন্দ্রের হোস্টেল মাঠে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হন।
বিয়ষটি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ভোট কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু দূরে নুরুল আমিন নামে একজন লোককে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এটাকে নির্বাচনী সহিংসতা বলা যাবে না।’
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত নুরুল আমিন স্থানীয় বিএনপি নেতা। তবে কোন পদে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাতকানিয়া কলেজ ভোট কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন নুরুল আমিন। তাকে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত নুরুল আমিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি মেয়ে ও এক ছেলের পিতা বলে জানা গেছে।
তবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘নিহত নুরুল আমিন আওয়ামী লীগ বা বিএনপির কেউ নয়। তিনি ভোট দিতে এসে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মনিরুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন। এখন বিএনপি রাজনীতি করার জন্য তাদের দলের লোক বলে দাবি করছে।’
এর আগে বাংলামেইলকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় নির্বাচন মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভায় সকাল ৯টার মধ্যেই সরকার দলীয় প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনতাই করেছে। ভোট বর্জনের বাকি আর কী আছে। এটার দরকার নেই। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা তো সকাল ৯টার মধ্যে সব কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। সীতাকুণ্ডে আমাদের প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। রাউজান, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, মিরসরাইয়, বারৈয়ারহাট, সন্দ্বীপসহ চট্টগ্রামের সব উপজেলায় একই অবস্থা। ভোটের আগেই তারা জিতে গেছে। ভোট ছিনিয়ে নিয়ে তারা বিজয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। এসব প্রহসনের নির্বাচনের কী দরকার ছিল?’
এদিকে ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালেটে সিল মারার অভিযোগে চন্দনাইশে দুটি এবং গোলযোগ-বাধায় একটি কেন্দ্রসহ মোট তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সকাল ১১টার দিকে বাঁশখালীতে একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে সাতকানিয়া, সন্দ্বীপ ও রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়ার খবরও প্রচার হয়েছে। তবে দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন