শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘সাতক্ষীরায় দুই শিশু নির্যাতনের এই ছবিটি ছিল সাজানো’

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই শিশু নির্যাতনের যে ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সাজানো বলে দাবি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগরের কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের তিন সহোদর গোলাম মোস্তফা, আব্দুল কুদ্দুস ও আবু মুসার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ অনেক দিনের।

সম্প্রতি গোলাম মোস্তফা তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে লোক চলাচল বন্ধ করতে খেজুর কাঁটার একটি বেড়া দেন। এই বেড়া সরিয়ে সেখানে খেলতে আসে পাড়ার শিশু মো. ইয়াসিন (৮) ও মো. নাসিম (৯)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গোলাম মোস্তফা ও তার ছেলে গোলাম হোসেন শিশু দুটিকে ধরে বেঁধে রাখেন। কয়েক মিনিট পর তা খুলেও দেন।

এই খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শিশু দুটির বাবা প্রতিবেশী আবদুল হামিদ ও ইসমাইল হোসেন গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম মোস্তফা শিশু দুটিকে চড় থাপ্পড় দিয়ে বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পায়ে শেকল দেয়া এবং পুরো দেহ রশি দিয়ে পেঁচিয়ে নির্যাতন সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছবিটি সাজানো এবং তা ঘটনার তিন দিন পর ভিন্ন স্থান থেকে তোলা হয়েছে। সিলেটের শিশু রাজনের মর্মান্তিক ঘটনাকে পুঁজি করে শিশুদের ব্যবহার করে পরিকল্পিত ছবি তুলে যে ঘটনা সাজানো হয়েছে তার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।’

তবে শিশু নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে তার বিচার হবে। ছবির এই গাছটি গোলাম মোস্তফার বাড়ির নয় বলে জানান তিনি।

ঘটনাস্থল শ্যামনগরের কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর গ্রাম ঘুরে এসে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাইয়েদ মঞ্জুর আলম জানান, নির্যাতনকারী গোলাম মোস্তফার বাড়ি থেকে ছবি নেয়া হলে তার সাথে বাড়িঘরের ছবি আসার কথা। কিন্তু ছবিতে শিশু দুটিকে যে গাছে বেঁধে রাখা দেখানো হয়েছে সেই গাছটি নির্যাতিত শিশু ইয়াসিনের বাড়ির একটি গাছের।

শ্যামনগরের জয়নগর গ্রামের শিশু নাসিম ও ইয়াছিনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ৮ ধারায় বুধবার শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি গোলাম মোস্তফাকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক জানান, ঘটনাটি খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শিশু নির্যাতনের ঘটনা এবং তার পরবর্তী ছবি সাজিয়ে তা গনমাধ্যমে প্রকাশের ঘটনা- সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন

তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন

মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন

  • খুলনায় তিন কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনতাই, গণসিল, মহিলার কারাদণ্ড
  • ৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত 
  • সাতক্ষীরা জেলায় আম সংগ্রহ উদ্বোধন
  • সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু  
  • টানা ৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট অ্যালার্ট জা‌রি
  • চুয়াডাঙ্গায় আগু‌নে পুড়ল কৃষকের ছাগল ও ভুট্টা
  • কোটি টাকার স্বর্ণসহ ইউপি মেম্বার গ্রেপ্তার
  • বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
  • শিশুর গলায় পিস্তল ঠেঁকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট
  • চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
  • কলেজের পিয়ন আবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তিনি
  • ঝিনাইদহে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা