সাদ্দামের ফাঁসির এক দশক: তিনি নেই, তিনি আছেন
আমেরিকা, ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠা ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকরের ১০ বছর পূর্তি ৩০ ডিসেম্বর। এক দশক আগের এই দিনে উত্তর বাগদাদে মিলিটারি ইন্টিলিজেন্সের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষমতাচ্যুত এই ইরাকি নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এতোদিনে ইরাক ও আগ্রাসন চালানো ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি স্বীকার করছে ইরাকে সাদ্দাম বিরোধী অভিযান ভুল ছিলো। শিয়া-কুর্দিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালানোর বহু অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও সুন্নি ইরাকীদের কাছে এখনো সাদ্দাম হোসেন নায়ক।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ, কুয়েত দখলে নিয়ে উপসাগরীয় যুদ্ধের জন্ম দিলেও শাসক হিসেবে সফল ছিলেন তিনি। তার শাসনামলে ইরাক ছিলো স্বাবলম্বী, মানসম্পন্ন শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছে সাধারণ ইরাকিরা। তাই তার মৃত্যুর এতোদিন পরও সাদ্দামের হাসিমুখের ছবি দেয়া হাতঘড়ি, পুরোনো নোট, কয়েনে বাগদাদের অ্যান্টিক শপগুলো ভরপুর।
তীব্র ভাষায় পশ্চিমাদের বিরোধীতাকারী সাদ্দাম নিজ বিশ্বাসে আমৃত্যু অবিচল থেকেছেন। তাই ফাঁসির মঞ্চে উঠেও ৬৯ বছর বয়সী এই নেতার মুখে ছিলো হাসি। সেই স্মরণীয় কিংবা কালো অধ্যায়ের এক প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুয়াফফাক আল রাবি। তিনি বলেন,‘আমি তার চেহারায় তখন কোনো ভয় দেখিনি’।
রাবি আরও জানান, আমিই ফাঁসির দড়ি ঝোলানোর লিভার টেনেছিলাম। তবে তা প্রথমে কাজ করেনি বলে অজ্ঞাতনামা আরেকজন সেই লিভারে টান দিলে সাদ্দামের মৃত্যু নিশ্চিত হয়।
বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার সাদ্দাম:
২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বরের অন্ধকার রাতে জন্মস্থান তিকরিতের কাছে পলাতক সাদ্দামকে আটক করে মার্কিন সেনারা। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২’শ ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো আগ্রাসী মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন আগ্রাসনে ইরাক হামছাড়া হওয়ার পর প্রায় ৮ মাস পারিবারিকভাবে বিশ্বাসী দেহরক্ষীদের নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন সাদ্দাম। সেই দেহরক্ষীদের একজনের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই সেই গোপন জায়গায় হানা দিতে সক্ষম হয় মার্কিন সেনারা।
বিলাসবহুল প্রাসাদে বসবাসকারী ইরাকি নেতাকে একটি ছোট বাঙ্কার থেকে বের করে আনা হয়। বের হয়েই সাদ্দাম স্পষ্ট ইংরেজিতে বলেন, “আমি ইরাকের প্রেসিডেন্ট এবং আলাপ-আলোচনা করতে চাই।”
তাকে ধরতে পারায় আনন্দে আত্মহারা মার্কিন কূটনীতিক পল ব্রেমার টেলিভিশনে দেয়া ঘোষণায় বলেন, “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান উই গট হিম।”
এরপরই বিশ্বগণমাধ্যমে উষ্কখুষ্ক চুল এবং ঘন দাড়িতে ঢাকা সাদ্দামের ভিডিও সম্প্রচারিত হয়। শূন্য চোখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। গোটা বিষয়টি আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে সাদ্দামের দাড়িসহ এবং শেভকরা চেহারার ছবি প্রকাশিত হয়। তবে আটককারীরা তার দাড়িতে হাত লাগালেও সাদ্দামসুলভ গোঁফ ছিলো অক্ষত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন