শনিবার, নভেম্বর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

সাদ্দাম হোসেনের অজানা তথ্য প্রকাশ করলো সিআইএ

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে অজানা তথ্য দিয়েছে সি আইএ এজেন্ট। ২০০৩ সালের ২০ মার্চ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন শুরু হলে ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে এই লৌহমানবের।

আগ্রাসনের শুরুতেই আত্মগোপন করেন সাদ্দাম। এর ছয় মাসের মাথায় ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে ধরা পড়েন তিনি। আটকের পর সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে খোঁজ করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

এই বিশেষজ্ঞের কাজ হবে আটক ব্যক্তিই প্রকৃত সাদ্দাম কি না তা নিশ্চিত করা এবং তাকে জিজ্ঞাসবাদ করে তথ্য বের করা। ওই বিশেষজ্ঞটি ছিলেন জন নিক্সন। তিনি ১৯৯৮ সালে সিআইএতে যোগদানের পড় থেকেই সাদ্দামকে নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন।

গোয়েন্দা সংস্থাটিতে নিক্সনের কাজই ছিল বিশ্বনেতাদের ভেতরকার খবর যোগাড় করা। এরমাধ্যমে কী সব ব্যাপার তাদেরকে অনুপ্রাণিত ও এগিয়ে রাখে তার বিশ্লেষণ করতেন তিনি।

বুধবার ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডারবিশায়ার প্রোগ্রামে জন নিক্সনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

জন নিক্সন জানান, ২০০৩ সালে সাদ্দামকে যখন তার জন্মস্থান তিকরিত শহরের খামারবাড়ি সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ গর্ত থেকে মার্কিন সেনাদের একটি ছোট দল আটক করে তখন তিনিও ইরাকে ছিলেন।

আগে থেকেই গুজব ছিল, নিরাপত্তার জন্য সাদ্দামের মতো দেখতে একাধিক দ্বৈত চেহারার ব্যক্তি রয়েছে। এ কারণে সাদ্দামকে আটকের খবর পাওয়ার তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নিক্সনকে নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ২০১১ সালে সিআইএ থেকে চাকরি ছেড়ে দেয়া নিক্সন দুই বছর পর সাদ্দামকে দেখেই চিনে ফেলেন। তিনি বলেন, আমি যখন তাকে দেখলাম তখন আমার মনে কোনো সন্দেহ ছিল না যে তিনিই সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, আমি যখন সাদ্দামের সাথে কথা বলা শুরু করলাম, তখন তিনি আমার দিকে সেভাবে তাকালেন, আমার ডেস্কে থাকা একটি বইয়ে যেভাবে তিনি তাকিয়ে ছিলেন।

বন্দি সাদ্দাম হোসেনকে নিক্সন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যে অনেক দিন ধরে সাদ্দামকে বিস্তারিত প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
এ ব্যাপারে নিক্সন বলেন, বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড মানুষটিকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করছি- এটি বিশ্বাস করতে আমি নিজের গায়ে চিমটি কাটি। এখন ভাবি ব্যাপারটি কত হাস্যকর ছিল।

সিআইএ’র সাবেক এই এজেন্ট ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ‘ডিব্রিফিং দ্য প্রেসিডেন্ট: দি ইন্টারোগেশন অব সাদ্দাম হোসেন’ নামে বই লিখেছেন। এতে সাদ্দামকে প্রচুর অসঙ্গতিতে ভরা একজন নেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে সাদ্দামকে যেভাবে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়, নিক্সনের বইয়ের বর্ননা পুরোপুরিই আলাদা। তিনি বইটিতে সাদ্দামের মানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন।

নিক্সন বলেন, আমি এ পর্যন্ত ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্বের মুখোমুখি হয়েছি তাদের অন্যতম ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। যখনই তার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাকে কমনীয়, চমৎকার, মজার এবং নম্র মনে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কোনো কোনো সময় সাদ্দামের চরিত্রের অন্ধকার দিকও ফুটে উঠত। যখন তিনি মেজাজ হারাতেন তখন তাকে ক্রুদ্ধ, রাগী, বাজে, নীচু মনের এবং ভীতিকর মনে হতো।

সাদ্দাম একজন নার্সিসিস্ট বা আত্মমগ্ন ছিলেন উল্লেখ করে নিক্সন বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করতেন। সাদ্দামন হোসেন বেশ কয়েক মাস আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় তিনি খুব একটা কারো সঙ্গে কথাবার্তা বলেননি।

এ কারণে প্রথম অধিবেশনে নিক্সন সাদ্দামের সঙ্গে এই সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেন যেন তিনি সহযোগিতা করতে রাজি হন। সাদ্দাম জানান, তিনি আলাপ পছন্দ করেছেন।

তিনি জানান, সাদ্দামকে কথা বলতে উৎসাহিত করার ব্যাপারে সিআইএর দিক থেকে আগ্রহভরে তেমন কিছু বলা হয়নি। তবে ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সাদ্দামের নিজের বক্তব্য রেকর্ড করেন নিক্সন।

নিক্সন বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা যারা কাজ করে তাদের শেখানো হয় কিভাবে কোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জবাব বের করে তা সম্ভাবনাময় সম্পদে পরিণত করতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরাকে আগ্রাসন চালানোর জন্য দেশটিতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার কথা বলে আসছিল। তাই সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ বিষয় ছিল ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’।

নিক্সন জানান, হোয়াইট হাউজের প্রধান আগ্রহ ছিল গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিষয়ে। তবে সাদ্দামের সঙ্গে কথা বলে, তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কয়েক বছর আগেই দেশটির পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এটি নতুন করে শুরু করারও মতলব ছিল না তার।

এদিকে সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ পাঁচ বছর ধরে নিক্সনকে ডাকেননি। বরং এফবিআইয়ের ভাষ্য ব্যবহার করে হোয়াইট হাউজ।

পরে ২০০৮ সালে হোয়াইটহাউজে ডাক পান নিক্সন। তিনি বুশ ও সাদ্দাম- উভয়ের সঙ্গে করমর্দনকারী অল্প কয়েকজন ব্যক্তির অন্যতম ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বুশের সমালোচনা করেন। তার মতে বুশ ছিলেন বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।

তাকে ঘিরে যেসব উপদেষ্টারা ছিল তারা ’বিবেচনা বোধহীন এবং জ্বি হুজুর টাইপের’ ছিলেন।

নিক্সন বলেন, সাদ্দামকে উৎখাতের পর ইরাকে কী ঘটবে তার কোনো ধারণাই ছিল না বুশ প্রশাসনের। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাদ্দাম যদি ক্ষমতায় থাকলে এই অঞ্চলের জন্য ভালো হতো।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ